ঈদ মানে আনন্দ। ছোটদের ছুটোছুটি, হৈ-হুল্লোড়। নতনু জমা পড়ে ঘুরাঘুরি। কিন্তু এর অনেকটাই এবার আশা করতে পারছে না কৃত্রিম বন্যায় জলাবদ্ধ ডিএনডিবাসী। তাদের ঈদ এবার হবে নিরানন্দ। স্বস্তিদায়ক ঈদ হবে না ডিএনডিবাসীর। তারা স্বাভাবিকভাবে কোরবানির পশু জবাই এবং আনুষাঙ্গিক কাজ করতে পড়বেন অনেক বিড়ম্বনায়। অন্যান্য বছরগুলোতে ঈদের প্রায় এক সপ্তাহ পূর্ব থেকে ঈদের পশু ক্রয় করে শুরু করেন ডিএনডিবাসী। কিন্তু এবার তার ব্যত্যয় ঘটল ডিএনডিবাসী জলাবদ্ধতায় অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহানের কারণে।
নিজেদের বসবাস করতেই যেখানে হিমশিম খেতে হচ্ছে, সংগ্রাম করতে হচ্ছে, সেখানে তারা আগাম কোরবানির পশু ক্রয় করে লালন পালন করার কথা চিন্তাও করছেন না। অনেক ডিএনিডবাসীই বৃহস্পতিবার এবং আজ তাদের ঈদের কোরবানির পশু ক্রয় করেছেন। অনেকে ক্রয় করবেন রাতে। অনেকে আবার পশুর হাটেই বা তুলনামূলক উচুস্থানে বসবাসরত স্বজনদের বাসায় তাদের কোরবানির পশু রেখেছেন।
সিদ্ধিরগঞ্জের ধনুহাজী রোড এলাকার বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত সরকারী কর্মকর্তা তোফাজ্জল হোসেন জানায়, অন্যান্যবার তিনি ঈদের বেশ কয়েকদিন আগেই কোরবানির পশু ক্রয় করে থাকেন। কিন্তু এবার তার এলাকায় কোরবানীর পশুর খাবারের অভাব হওয়ায় এবং কোরবানির পশুর চলাফেরার কথা চিন্তা করে কোরবানীর পশু ঈদের দু’দিন আগে বৃহস্পতিবার কোরবানির পশু ক্রয় করেছেন। কিন্তু তার মহল্লার রাস্তায় পানি হওয়ায় কোরবানির পশুকে কোথাও খাবারের জন্য নিয়ে যেতে পারেননি। উপরন্তু তিনি তার ভবনের নীচে কোরবানির পশুকে বেধে রেখে শুধু ভুসি এবং আশপাশর গাছের পাতা খাওয়ালেন কোরবানীর পশুকে। ডিএনডিবাসীর মতে, ডিএনডির প্রায় চারদিকে থৈ থৈ পানির কারণে ঈদের দিন কোরবানির পশু জবাই করতে গিয়ে তাদেরকে বেশ বিড়ম্বনায় পড়তে হবে। এতে তাদর ঈদ এবার স্বস্তিদায়ক হবে না।
নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাজী ওমর ফারুক জানায়, আমার কার্য্যালয়েও পানি উঠেছে। জলাবদ্ধ এলাকাবাসীর দুর্ভোগ দেখে কষ্ট হয়। কিন্তু আমাদের হাতে কিছু করার নেই। এলাকাবাসীর জন্য কিছু করতে না পেরে নিজেকে অসহায় মনে হয়। কেননা ডিএনডির পাম্প হাউজ দ্বারা পানি নিষ্কাশন করা ছাড়া বিকল্প কোন পথ নেই।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার