সাতক্ষীরার কলারোয়ায় হিন্দু সম্প্রদায়ের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় অনুষ্ঠান শারদীয় দুর্গা পূজাকে কেন্দ্র করে আনন্দঘন পরিবেশ বিরাজ করছে। উপজেলার বিভিন্ন পূজা মন্ডপে চলছে সাজ সাজ রব। শুধু হিন্দু সম্প্রদায় নয় দেশের অন্য ধর্মের মানুষেরাও এ উৎসবে অন্তর্ভূক্ত হন নানাভাবে।
আগামী ২৬শে সেপ্টেম্বর ষষ্ঠী তিথিতে দেবী দুর্গার বোধন ও অধিবাসের মধ্য দিয়ে শুরু হবে ৫ দিনব্যাপী দুর্গোৎসব। অনেক আগেই উপজেলার ৩৯ টি পূজা মন্ডপে দেবীর মূল অবয়ব গড়ে তোলা হয়েছে। আর মাত্র কয়েকটা দিন বাকী, তাই সারা দেশের মত কলারোয়া উপজেলার বিভিন্ন পূজা মন্ডপগুলোতে চলছে দেবী প্রতিমার গায়ে শেষ রং তুলির আঁচড়ের ধুম।
মাটির প্রলেপ শেষে তাই মাতৃ রুপকে আপন মনের মাধুরী মিশিয়ে ফুটিয়ে তুলতে সবচেয়ে বেশি কষ্ট করতে হয় প্রতিমা শিল্পী বা ভাস্করকে। কেননা পরম শ্রদ্ধা, আগ্রহ আর ভক্তিতে নিপুন হাতের পরম ছোঁয়ায় তুলির আঁচড়ে মূর্ত হয়ে উঠেন দেবী। বলা চলে গুরুদায়িত্বের কারণে দম ফেলার ফুরসত নাই প্রতিমা কারিগরদের।
আজ (শনিবার) সকালে কলারোয়া পৌরসভার বিভিন্ন পূজা মন্ডপ ঘুরে দেখা গেছে কয়েকটি স্থানে নির্মিত প্রতিমাগুলোতে রং তুলির কারুকাজ শেষ করে সেগুলো সজ্জিত করা হয়েছে।
এ বছর কলারোয়া উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার মোট ৩৯ টি স্থানে দুর্গোৎসব উৎযাপিত হবে। উপজেলার সবচেয়ে বড় পূজা মন্দির দেয়াড়া ঘোষপাড়া (সমীরনের বাড়ী) মানসী দুর্গাপূজা মন্দিরে এই প্রথমবারের মত গড়া হয়েছে মোট ১০১টি প্রতিমা। তাই সকলের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকছে এই পূজা মন্ডপটি।
কলারোয়া পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বাবু মনোরঞ্জন সাহা বলেন, কলারোয়া উপজেলার বিভিন্ন পূজা মন্ডপে ইতোমধ্যে প্রতিমা তৈরির কাজ সম্পন্ন হয়েছে। সকলেই নির্বিঘ্নে আনন্দঘন পরিবেশে পূজা উদযাপন করবে বলে আশা করি।
কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বিপ্লব কুমার নাথ জানিয়েছেন, পূজা উপলক্ষ্যে স্বেচ্ছাসেবক, আনসার ও পুলিশের সমন্বয়ে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। প্রতিটি ইউনিয়নে একটি করে স্ট্রাইকিং ফোর্স তাদের দায়িত্ব পালন করবে। উপজেলার কোনো পূজা মন্ডপকে তিনি ঝুঁকিপূর্ণ বলে মনে করেন না। তবে সকল মন্ডপকে সমান গুরুত্ব সহকারে নিরাপত্তার চাদরে বেষ্টিত করে রাখবেন বলে জানান তিনি।
তিনি আরো বলেন, ধর্ম যার যার উৎসব সবার, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখা সবার জন্য জরুরী। এজন্য আযান ও নামাজের সময় প্রত্যেক পূজা মন্ডপে মাইক বা লাউড স্পীকারের ব্যবহার অবশ্যই বন্ধ রাখতে হবে। মাদক সেবন ও ইভটিজিংয়ের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বিডি প্রতিদিন/১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭/হিমেল