টাঙ্গাইলের বাসাইলের চাপড়া বিলে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী নৌকা বাইচ অনুষ্টিত হয়ে গেল শনিবার বিকেলে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ডা. কামরুল হাসান এ নৌকা বাইচের উদ্বোধন করেন। টাঙ্গাইল-৮ আসনের সংসদ সদস্য অনুপম শাহজাহান জয় প্রধান অতিথি থেকে বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন।
নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা উদযাপন কমিটির আহবায়ক একে আজাদ খান শূরের সভাপতিত্বে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক খান মো. নুরুল আমিন, টাঙ্গাইল পৌর মেয়র জামিলুর রহমান মিরণ, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক খন্দকার আশরাফুজ্জামান স্মৃতি, বাসাইল উপজেলা চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম প্রমুখ।
নৌকা বাইচে টাঙ্গাইল, ঢাকা, সাভার, সিরাজগঞ্জ ও মানিকগঞ্জ জেলার শতাধিক বিভিন্ন ধরণের নৌকা বাইচে অংশ নেয়। এই নৌকা বাইচ উপভোগ করেন হাজার হাজার নারী পুরুষ এবং শিশুরা।
কারুকার্য ও গঠনের দিকে তাকালে বিভিন্ন জেলার বাইচের নৌকাগুলোর মধ্যে বৈচিত্র্যতা দেখা যায়। একেক অঞ্চলের নৌকা বাইচের জন্য একেক রকমের নৌকার প্রচলন রয়েছে। টাঙ্গাইল অঞ্চলগুলোতে বাইচের জন্য সাধারণত কোশা নৌকা ব্যবহৃত হয়। টাঙ্গাইলে নৌকা বাইচে সরু ও লম্বা ধরনের ছিপ জাতীয় দ্রুতগতি সম্পন্ন নৌকা ব্যবহৃত হয়। এর সামনের দিকটা পানির সাথে মিশে থাকে আর পেছনের অংশটি পানি থেকে প্রায় ৫ ফুট পর্যন্ত উঁচু হয়। এই নৌকায় সামনের ও পেছনের মাথায় চুমকির বিভিন্ন কারুকার্য থাকে। ছিপ জাতীয় বাইচ নৌকা তৈরিতেও শাল, গর্জন, শীল কড়ই, চাম্বুল ইত্যাদি গাছের কাঠ ব্যবহৃত হয়।
বাইচের নৌকাগুলোর বিভিন্ন নাম রয়েছে। যেমন, অগ্রদূত, ঝরের পাখি, পঙ্খিরাজ, ময়ূরপঙ্খী, সাইমুন, তুফান মেল, সোনার তরী, দীপরাজ ইত্যাদি।
বিডি প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন