রঙ তুলির আঁচড়ে সৌন্দর্য বর্ধণের কাজ চলছে নীলফামারীর পূজা মন্ডপগুলোতে। ইতোমধ্যে বিভিন্ন কেন্দ্রে প্রতিমা তৈরির যাবতীয় কাজ সম্পন্ন হয়েছে। কোথাও কোথাও শুরু হয়েছে রঙ তুলির কাজ।
এমন চিত্র দেখা গেছে জেলা শহরের বিভিন্ন পূজামন্ডপ ঘুরে। তবে এবারে প্রতিমায় ব্যতিক্রম এসেছে নীলফামারী পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের ঐতিহ্যবাহী দেবীরডাঙ্গায় শ্রী শ্রী রাধাগোবিন্দ মন্দিরে।
সিংহের উপরে স্থাপন করা হয়েছে বিভিন্ন প্রতিমা। স্থান পেয়েছে শঙ্খও। গতবারের চেয়ে বড় আকারের প্রতিমা বানানো হয়েছে মন্ডপটিতে।
মালি জয়ন্ত কুমারের নেতৃত্বে ৫ জন তৈরি করেছেন এখানকার প্রতিমাগুলো। মাটির কাজ শেষ হওয়ায় রঙ তুলির কাজে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন তারা।গতবারের চেয়ে এবারে এখানকার প্রতিমা আলাদা আকর্ষণ বাড়াবে। আকারে বড় এবং নতুনত্ব রয়েছে প্রতিমায়। সিংহের উপর স্থাপন করা হয়েছে প্রতিমাগুলো। ইতিপুর্বে আঁচলের উপর প্রতিমা বসানো হলেও এবারে সেটি নেই।
মন্দিরের সভাপতি নরেশ চন্দ্র রায় বলেন, জেলার মধ্যে বড় পূজা উদযাপন হয়ে থাকে আমাদের এখানে। দেরিবডাঙ্গার সুনাম বিভিন্ন স্থানে রয়েছে। এবারে আরো ভালো হবে। তিনি জানান, এবার ৬৩তম পূজা উদযাপন হচ্ছে রাধারগোবিন্দ মন্দিরে।
শুধু জেলা শহর নয় পূজা উদযাপনে প্রস্তুত হচ্ছে গোটা নীলফামারী বিভিন্ন উপজেলা। এবারে ৮৩৬টি মন্ডপে শারদীয় দুর্গোৎসব উদযাপিত হবে।
জেলা ত্রাণ ও পুর্ণবাসন দফতর সূত্র জানায়, ৮৩৬টির মধ্যে ডিমলায় ৭৭টি, ডোমারে ৯৩টি, জলঢাকায় ১৬৪টি, কিশোরগঞ্জে ১৪৪টি, সদরে ২৭৮টি এবং সৈয়দপুরে ৮০টি পূজা মন্ডপ রয়েছে।
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ নীলফামারী জেলা কমিটির সভাপতি অক্ষয় কুমার রায় জানান, জেলার মধ্যে সদর উপজেলার লক্ষ্মীচড় ইউনিয়নের শীশাতলি মন্দিরে বড় আয়োজনে শারদীয় দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও জেলা পুলিশের মুখপাত্র আবুল বাসার মোহাম্মদ আতিকুর রহমান জানান, প্রতিমা তৈরির সময় থেকে মন্ডপগুলোতে আমরা (পুলিশ) নজরদারী শুরু করেছি। যাতে কোন অপ্রিতীকর ঘটনা না ঘটে। পূজা শুরু হওয়ার সময় প্রয়োজনীয় নিরপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে পুলিশের পক্ষ্য থেকে। উৎসবমুখর পরিবেশে নীলফামারী জেলায় শারদীয় উৎসব সম্পন্ন হবে বলে জানান তিনি।
বিডি প্রতিদিন/১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৭/হিমেল