ঝালকাঠিতে বিভিন্ন বেসরকারী ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের র্যাব সদর দপ্তর অভিযান চালিয়ে জরিমানা করেছে। র্যাব সদর দপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. গাউছুল আজমের নেতৃত্বে এ অভিযানকালে র্যাব -৮ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুহাম্মদ ছুরত আলমসহ উদ্ধর্তন কর্মকর্তরা সাথে ছিলেন।
এ সময় সিটি ক্লিনিকের ১০ বেডের স্থলে ২০ বেড এবং ডিপ্লোমাধারী নার্স না থাকায় ২ লাখ, আল শেফা পলি ক্লিনিককে ভূয়া নার্স ও কোন ডাক্তার না থাকায় ১ লাখ, নিজস্ব ডাক্তার ও প্রয়োজনীয় ডাক্তার না থাকায় মৌমিতা ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে টেকনেশিয়ান না থাকায় ২০ হাজার, স্কয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষিত জনবল না থাকায় ২০ হাজার, বানি ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ১০ হাজার, সহ মোট এর পূর্বে দুপুরে কোর্ট রোডের আলামিন হোটেল থেকে ১০ হাজার, বিসমিল্লাহ হোটেল থেকে ১০ হাজার, আনোয়ার হোটেল থেকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন তারা।
এর পুর্বে দুপুরে সদর হাসপাতালে অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ৯ নারী দালালকে আটক করে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে প্রত্যেকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছে।
অভিযান শেষে সদর হাসপাতালের র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. গাউছুল আজম এক প্রেস ব্রিফিং করে জানান, বেসরকারী ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে যতক্ষণ পর্যন্ত অনিয়ম থাকবে ততক্ষণ পর্যন্ত এ অভিযান চলবে। নিজস্ব ডাক্তার, প্রশিক্ষিত নার্স, প্রয়োজনীয় জনবল না থাকায় বেসরকারী ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে আইন অনুযায়ী জরিমানা করা হয়েছে। আটককৃত দালালরা ঝালকাঠি সদর হাসপাতাল থেকে রোগী বাগিয়ে নেয়ার কাজে জড়িত। এরা হাসপাতালে আসা রোগীদের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার জন্য শহরের স্কায়ার ক্লিনিক, বানী ডায়াগনস্টিক ও মমতাজ ডায়াগনস্টিকে নিতে প্রলুদ্ধ করত। তিনি আরো জানান, ভবিষ্যতে বিভিন্ন ক্লিনিক ও হাসপাতালে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
বিডি প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন