শেরপুরের শ্রীবরর্দী উপজেলার ভারত সীমান্তবর্তী রানী শিমুল ইউনিয়নের নেপালের টিলার মাতাবের ঘোছা এলাকা থেকে ৩ দিনের ব্যবধানে আরও একটি স্ত্রী বন্যহাতির মৃত দেহ পাওয়া গেছে।
এর আগে শুক্রবার ৬ অক্টোবর বিকালে শেরপুর জেলার শীবরর্দী উপজেলার বাংলাদেশ ভারতের সীমান্ত অঞ্চল খারামোরা রাঙ্গাজান এলাকায় আরেকটি বন্যহাতির মৃতদেহ পাওয়া যায়। বর্তমানে রোপা আমন ধানের থোর (ধানের শীষ)দেখা দিয়েছে। এ সময় বন্যহাতির দল ধান খেতে এসে ধান মারিয়ে ব্যাপক ক্ষতি সাধন করে। এসময় পাহাড়িদের বাড়ী ঘরে ঢুকে জান ও মালের ক্ষতি করে।
সম্প্রতি বন্যহাতির কবল থেকে ধান ক্ষেত রক্ষা করতে জেনারেটর দিয়ে উৎপাদিত বিদ্যুতের তার দিয়ে ঘের তৈরি করেছে। বনবিভাগের ধারণা জেনারেটরের বৈদ্যতিক শকের কারণে হাতি দুটির মৃত্যু হয়েছে। প্রাণি সম্পদ বিভাগের কর্মকর্তা ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য হাতির শরীরের বিভিন্ন অংশ সংগ্রহ করেছে। পরে মৃতদেহ দুটি ঘটনাস্থলেই মাটি চাপা দেয়া হয়েছে।
বন বিভাগ বলছে কৃষকরা জেনারেটর দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করছে। জেনারেটরের বিদ্যুতায়িত তার দিয়ে ঘের দিয়ে ধানক্ষেত ঘিরে রাখছে।বণ্য হাতি রাতে ধান খেতে এসে ওই তারে জড়িয়ে মারা পড়ছে। এলাকাবাসীদের মত ভারত সীমান্তের কাটা তার ছিড়ে বাংলাদেশ সীমান্তে আসার সময় আহত হয়ে এসে বাংলাদেশের সীমান্তে মারা যাচ্ছে। করার পর হাতি দুটির মৃত্যু হয়েছে।
উপজেলা প্রাণি সম্পদ দফতরের ভেটেনারী সার্জন মেহেদী হাসান জানান, ময়না তদন্ত ও ফরেনসিক পরীক্ষার ফল না হওয়া পর্যন্ত কিছু বলা যাচ্ছে না।
বালিজুরি রেঞ্জ কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম জানান, ধারনা করা হচ্ছে জেনারটরের বিদ্যুতে বিদ্যুতায়িত হয়েই হাতির মৃত্যু হয়েছে। তিনি আরো জানান, বণ্য পশু হত্যা আইনত দন্ডনীয় তাই স্থানীয় ভেটেনারী সার্জন দিয়ে পরীক্ষা করে ভিন্ন কারণ দেখানো হচ্ছে।থানায় সাধারন ডায়েরী করার প্রস্তুতি চলছে বলে রেঞ্জ কর্মকর্তা জানিয়েছে। উল্লেখ্য গত শুক্রবার রাতে একটি পুরুষ হাতিসহ গত এক বছরে এ সীমান্তে ৬ টি বন্যহাতির মৃত্যু হয়েছে।
বিডিপ্রতিদিন/ ০৮ অক্টোবর, ২০১৭/ ই জাহান