বরিশালের উজিরপুরের চৌমহনী এলাকায় স্থানীয় যুবলীগ নেতা টিটু হাওলাদারকে (৩৫) ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ করা হয়েছে।
গত শনিবার রাত ৮টার দিকে টিটুর লাশ উদ্ধারের পর এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে বিএনপি নেতা জসিম হাওলাদারকে পুলিশ আটক করেছে।
নিহত টিটু ধামসর গ্রামের আব্দুল খালেক হাওলাদারের ছেলে এবং বামরাইল ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলার গড়িয়া নতুন হাট বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক। জসিম উপজেলার বরাকোঠা ৯নং ওয়ার্ড বিএনপি’র সভাপতি। এ ঘটনায় রবিবার নিহতের ভাই বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
নিহতের খালাতো ভাই তানভীর আহমেদ জানান, গড়িয়া নতুনহাট বাজারে টিটুর ইলেকট্রনিক্সের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। শনিবার রাতে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে স্থানীয় মাহাবুব গোমস্তার মোটরসাইকেল যোগে জসিম হাওলাদারকে সাথে নিয়ে চৌমহনী বাজারের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয় টিটু। চৌমহনী বাজার সংলগ্ন গতিরোধক অতিক্রমের সময় সেখানে আগে থেকে ওৎ পেতে থাকা দুর্বৃত্তরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে টিটুর মাথা ও মুখে কোপ দেয়। এতে টিটুর মাথায় বক্তাত্ব জখম হয়। মোটরসাইকেল চালানো অবস্থায় থাকা টিটু কোন কিছু বুঝে ওঠার আগেই সড়কে পড়ে যায়। টিটুর পেছনে বসে থাকা জসিম পার্শ্ববর্তী শাহিন স্টোর থেকে বরফিনিয়ে এসে দেখে টিটুর নিথর দেহ পড়ে আছে।
ইতিমধ্যে মোটরসাইকেলের মালিক মাহবুব ঘটনাস্থল থেকে তার মোটরসাইকেলটি নিয়ে গেলেও টিটুকে উদ্ধার করেনি। পরবর্তীতে পুলিশ টিটুকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। পরে পুলিশ মাহাবুবের মোটরসাইকেলটি জব্দ এবং রাতেই জড়িত সন্দেহে বিএনপি নেতা জসিমকে আটক করে।
নিহতের ভাই বাচ্চু হাওলাদারের অভিযোগ, মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার নাটক সাঁজিয়ে টিটুকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। তারা এই হত্যাকান্ডের কঠোর বিচার দাবী করেন।
উজিরপুর থানার এসআই আমির হোসেন বলেন, এ ঘটনায় নিহতের ভাই বাচ্চু হাওলাদার বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে জসিমকে আটক করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ঘটনার সাথে সম্পৃক্ততা পাওয়া গেলে জসিমকে এ মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হবে।
বিডি-প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন