টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার পৌলী গ্রামে যৌতুকের দাবিতে গৃহবধূ শিরিন আক্তারকে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতনের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে স্থানীয় গ্রামবাসীসহ নির্যাতিতের পরিবার।
সোমবার সকালে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাব সম্মুখে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।
জানা যায়, প্রায় বিশ বছর পূর্বে কালিহাতী উপজেলার পৌলী গ্রামের বজলুর রহমান ভোলার সাথে বিবাহ্ বন্ধনে আবদ্ধ হন শিরিন আক্তার। এ দাম্পত্য সময়ে তাদের সংসারে দুই ছেলে সন্তানের জন্ম হয়। বিয়ের সময় স্বামী বজলুর রহমান ভোলাকে যৌতুক বাবদ ৩ লাখ টাকা দেন গৃহবধূর দরিদ্র পিতা। এ স্বত্তেও পরবর্তিতে আরো ৫ লাখ টাকা দাবী তুলেন স্বামী ও তার পরিবার। এ যৌতুকের টাকা দিতে না পারায় চলতে থাকে অমানুষিক নির্যাতন। এরই মাঝে স্বামীর গতিবিধি ও কথাবার্তার কারণে তিনি জানতে পারেন স্ত্রীর অনুমতি ছাড়া স্বামীর দ্বিতীয় বিবাহের বিষয়টি। এ নিয়ে প্রতিবাদ করায় তার উপর চালানো হয় আরো অমানুষিক নির্যাতন। এরপর গত ৮ অক্টোবর গৃহবধূ শিরিন আক্তারকে গাছে বেঁধে মধ্যযুগীয় নির্যাতন চালায় তার স্বামী ও পরিবারের সদস্যরা। এ সময় তার ডাক চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে টাঙ্গাইল শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। বর্তমানে গৃহবধূ শিরিন আক্তার চিকিৎসাধীন রয়েছে।
বর্বরোচিত ও নির্যাতনের প্রতিবাদে ও জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে এ মানববন্ধন পালন করাসহ জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছেন নির্যাতিত পরিবার এবং গ্রামবাসী।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন টাঙ্গাইল সাধারণ গ্রন্থাগার এর সহ-সভাপতি খন্দকার নাজিম উদ্দিন, বেসকারি এনজিও সংস্থা সুপ্র টাঙ্গাইল এর নির্বাহী পরিচালক মঞ্জুরাণী প্রামানিক, ব্লাস্ট এর সমন্বয়কারি এডভোকেট খন্দকার আমেনা রহমান, প্রাথমিক শিক্ষক নেতা সাজ্জাদুর রহমান খোশনবিস প্রমুখ।
বিডি-প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন