দাফনের ৬ দিন পর রহিমা আক্তার সোনিয়ার মরদেহ পুনরায় ময়নাতদন্তের জন্য কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। দুপুরে পঞ্চগড় জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সোহরাব হোসেনের উপস্থিতিতে সোনিয়ার মরদেহ উত্তোলন করা হয়।
এসময় তেতুলিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সরেস চন্দ্র, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তেতুলিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) আব্দুস সবুর, ভাইস চেয়ারম্যান সুলতানা রাজিয়া, তেতুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান কাজী আনিসুর রহমানসহ এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলেন।
গত সোমবার বিকেলে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালত-৪ এর বিচারক মো. জাহাঙ্গীর আলম সোনিয়ার মরদেহ উত্তোলনের জন্য নির্দেশ দেন।
এদিকে, পুলিশের আবেদনের প্রেক্ষিতে অভিযুক্ত ২ আসামীকে ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। গত সোমবার পুলিশ আসামীদের ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে আবেদন করে পুলিশ।
অন্যদিকে, সোনিয়ার আত্মহত্যায় প্ররোচনা কারী আসামী রাজন ও আতিকের বিচার দাবিতে প্রতিবাদ সমাবেশ, মানববন্ধন অব্যাহত রয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে পঞ্চগড় বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের আয়োজনে ঢাকা-বাংলাবান্ধা মহাসড়কে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মানববন্ধনে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক শিক্ষার্থী, সাংস্কৃতিক কর্মী ও রাজনৈতিক নেতাকর্মীরা অংশ নেন।
রহিমা আক্তার সোনিয়া গত ১০ অক্টোবর গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে। গত ১১ অক্টোবর একটি ইউডি মামলার প্রেক্ষিতে সোনিয়ার লাশের প্রার্থমিক ময়নাতদন্ত হয়।
শুরুতে পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা গ্রহণে গড়িমসি করে পুলিশ। পরে লাশ দাফনের ৪ দিন পর পরিবারের পক্ষ থেকে ধর্ষণ ও আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলা গ্রহণ করে তেঁতুলিয়া থানা পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ধর্ষণের আলামত নির্ণয়ের জন্যই পুনরায় ময়নাতদন্ত করা হবে।
বিডি-প্রতিদিন/ ১৭ অক্টোবর, ২০১৭/ ওয়াসিফ