সিলেট মহানগরীর দক্ষিণ সুরমার কদমতলি বাসস্ট্যান্ড এলাকায় হোটেল দখল নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সদস্য ও সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক শাহীনুর আহমদ শাহীন (৩০) গুরুতর আহত হয়েছেন। তাকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের আইসিইউতে রাখা হয়েছে। মঙ্গলবার বেলা ২টার দিকে তাজমহল হোটেলে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বুধবার সকাল ৬টা থেকে সিলেটে অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে পরিবহন মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদ।
কদমতলিস্থ তাজমহল হোটেল নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে দুটি পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। দুটি পক্ষই হোটেলটি দখলে নিতে চায়। এর জেরেই আজ ওই হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
তাজমহল হোটেলের ব্যবস্থাপক নুর মোহম্মদ জানান, ৭-৮ জনের একদল যুবক মোটরসাইকেলে এসে আকস্মিক হোটেলে হামলা ও ভাঙচুর চালায়। তাদের মাথায় হেলমেট ও গামছা পরিহিত ছিল। হোটেলে হামলা ও ভাঙচুরকালে কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলিও ছুড়ে তারা। পরে হোটেলে দুটি তালা লাগিয়ে পালিয়ে যায় তারা।
এদিকে হামলাকারীরা পালিয়ে যাওয়ার সময় সিলেট জেলা পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি সেলিম আহমদ ফলিকের বিরুদ্ধে স্লোগান দেয় বলে জানা গেছে। এসময় পরিবহন শ্রমিকরা হামলাকারীদের ধাওয়া দেয়।
পরিবহন শ্রমিক নেতা সেলিম আহমদ ফলিক বলেন, ‘যুবলীগ নেতা মহসিন কামরান, সুহেল খান, শামীম ও দুলালের নেতৃত্বে তাজমহল হোটেলে হামলা ও ভাঙচুর চালানো হয়। হামলাকারীরা পালিয়ে যাওয়ার সময় আমার বিরুদ্ধে স্লোগান দিলে পরিবহন শ্রমিকরা তাদের ধাওয়া করেন।’
তিনি বলেন, ‘হামলা ও ভাঙচুরের প্রতিবাদে সিলেট জেলা বুধবার সকাল ৬টা অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে পরিবহন মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদ।’
এদিকে, ঘটনার খবর পেয়ে দক্ষিণ সুরমা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে গুরুতর আহত অবস্থায় ছাত্রলীগ নেতা শাহীনুর আহমদকে উদ্ধার করে ওসমানী হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে তাকে আইসিইউতে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় আরো চারজন আহত হন।
দক্ষিণ সুরমা থানার ওসি খায়রুল ফজল বলেন, তাজমহল হোটেলে কতিপয় যুবক হামলা ও ভাঙচুর চালিয়েছেন। এ সময় দু’পক্ষের সংঘর্ষে একজন গুরুতর আহত হয়েছেন।
বিডি প্রতিদিন/১৭ অক্টোবর ২০১৭/হিমেল