টাঙ্গাইলের মধুপুরে চলন্ত বাসে আইন বিভাগের মেধাবী ছাত্রী রুপা খাতুনকে প্রথমে ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় আদালতে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিল করেছে পুলিশ।
বুধবার দুপুরে টাঙ্গাইলের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে অভিযোগপত্র দাখিল করা হলে আদালতের বিচারক মো. আব্দুল মান্নান অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন। একই সাথে আসামিদের জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে আগামী ১৩ নভেম্বর চার্জগঠনের দিন ধার্য করেন আদালত।
টাঙ্গাইলের কোর্ট ইন্সপেক্টর আনোয়ারুল ইসলাম জানান, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও মধুপুর অরণখোলা পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক কাইয়ুম খান সিদ্দিকী আজ বুধবার সকালে টাঙ্গাইলের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন এবং আসামিদের জামিন নামঞ্জুর করেছেন।
গত ২৫ আগস্ট বগুড়া থেকে ময়মনসিংহ যাওয়ার পথে ছোঁয়া পরিবহনের শ্রমিকরা রূপা খাতুনকে চলন্ত বাসে ধর্ষণ করে। পরে রুপার ঘাড় মটকে হত্যা করে টাঙ্গাইলের মধুপুর বন এলাকায় ফেলে রেখে যায়। মধুপুর থানার পুলিশ ওই রাতেই তাঁর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের পর বেওয়ারিশ লাশ হিসেবে টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় কবরস্থানে দাফন করে। একইসাথে ওই থানার পুলিশ বাদী হয়ে মধুপুর থানায় হত্যা মামলা করে।
গত ২৮ আগস্ট মধুপুর থানায় গিয়ে লাশের ছবি দেখে রুপাকে শনাক্ত করেন তার ভাই হাফিজুর রহমান। পরে পুলিশ ছোঁয়া পরিবহনের চালক হাবিবুর (৪৫), বাসের তত্ত্বাবধায়ক সফর আলী (৫৫) এবং বাসচালকের সহকারী শামীম (২৬), আকরাম (৩৫) ও জাহাঙ্গীরকে (১৯) গ্রেপ্তার করে। পুলিশের কাছে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা রুপাকে ধর্ষণ ও হত্যার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেয়।
এরপর গত ৩১ আগস্ট রুপার লাশ টাঙ্গাইল কেন্দ্রিয় কবরস্থান থেকে উত্তোলন করে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরে তাঁকে সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার নিজ গ্রাম আসানবাড়িতে বাবার কবরের পাশে দাফন করা হয়।
বিডি-প্রতিদিন/২৫ অক্টোবর, ২০১৭/মাহবুব