পাবনায় এক গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। আজ শহরের শালগাড়িয়া মহল্লার গোডাউন পাড়ায় এই ঘটনা ঘটে। নিহত শিপ্রা রানী দাস (২৮) ওই মহল্লার মানিক দাসের স্ত্রী ও নারায়ন চন্দ্র দাসের মেয়ে। এ ঘটনার পর থেকেই স্বামী পলাতক রয়েছে।
নিহত শিপ্রার বাবা নারায়ন চন্দ্র দাস বলেন, গত ৯ বছর পূর্বে আমার মেয়ের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই অভাব অনটন আর নেশার কারণে তাদের মধ্যে ঝগড়া বিবাদ লেগেই থাকত। এক পর্যায়ে আমার মেয়ে চাকরি নেয়। তারপর থেকেই নেশার মাত্রা বেড়ে যায়। নেশার টাকা না পেলেই আমার মেয়েকে ব্যাপক মারপিট করত। এরই ধারাবাহিকতায় আজ সকালে টাকা না দিতে পারায় আমার মেয়েকে ব্যাপক মারপিট করে হত্যা করে। আমরা এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।
পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক বলেন, সকাল ১১ টার দিকে স্থানীয়রা খবর দেয় যে, গোডাউনের পিছনে এক গৃহবধূ গলায় ফাস নিয়ে আত্মহত্যা করেছে। তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে নিহতের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। এলাকাবাসী ও নিহতের স্বজনদের দাবি, তাকে পিটিয়ে হত্যার পর লাশটি ঘরের ফ্যানের সাথে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। নিহত শিপ্রার ৭ বছরের একটি কন্যা শিশু রয়েছে।
ওসি আরও বলেন, নিহতের মৃতদেহ ময়না তদন্তের জন্যে পাবনা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত এই ঘটনায় কেউ অভিযোগ দায়ের করে নাই। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার