সোনাইমুড়ীতে পরকিয়া প্রেমে বাধা দেয়ায় এক ইয়াবা ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে স্ত্রীর গায়ে আগুন ধরিয়ে দিয়ে পুড়িয়ে হত্যার গুরুতর অভিযোগ উঠেছে।
নোয়াখালী জেলার সোনাইমুড়ী উপজেলার বানুয়াই গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, ময়মনসিংহ জেলার ফুলবাড়িয়া উপজেলার সাইফুল ইসলামের মেয়ে সাবিনা ইয়াসমিনের মোবাইল ফোনে সম্পর্ক গড়ে উঠে নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী পৌর সভার বানুয়াই গ্রামের কসাই বাড়ির ইয়াবা ব্যবসায়ী ও আতা উল্লার ছেলে হেলাল উদ্দিন পিন্টুর সাথে। এক পর্যায়ে তাদের ২০১৪ সালে তাদের বিয়ে হয়। এরই মাঝে গত ১ মাস আগে একটি শিশু সন্তান হয় সাবিনার। তার বাবা সাইফুল ইসলাম জানান, বিয়ের কিছু দিন পর পিন্টু স্থানীয় একটি মেয়ের সাথে সম্পর্ক গড়ে তুলে।
এ বিষয় স্ত্রী প্রতিবাদ করায় প্রতিনিয়ত তার উপর নির্যাতন চালায় পিন্টু। গত মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় সাবিনা সর্বশেষ তার মা বাবার সাথে কথা বলে এবং জানান তোমরা আমাকে বাঁচাও পিন্টু আমার উপর নির্যাতন চালাচ্ছে আমাকে সে মেরে ফেলবে। তারপর থেকে তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়।
তার বাবার অভিযোগ ঘটনার দিন মঙ্গলবার রাত ১টার দিকে তার মেয়ে সাবিনাকে একটি রুমে আটক রেখে গায়ে পেট্রল দিয়ে পরিকল্পিত ভাবে পুড়িয়ে হত্যা করে। তিনি আরো বলেন, যে রুমে সাবিনা থাকতো সে রুমের খাট পুড়ে যায় এবং সাবিনার শরীর এমন ভাবে পুড়ে গেছে তাকে চেনার কোন উপায় নেই। কিন্তু শিশুটি কি ভাবে অক্ষত থাকে। পরের দিন বুধবার পিন্টু তাদের কে জানান সাবিনা গায়ে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে এবং শরীর পুড়ে গেছে। তখন তার বাবা সাইফুল বলেন তাকে একটি হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করো, আমরা আসছি। তারপর থেকে পিন্টুর মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়।
বৃহস্পতিবার আমরা এসে দেখি সোনাইমুড়ী থানায় সাবিনার লাশ। এ দিকে বৃহস্পতিবার বিকেলে সোনাইমুড়ী থানা থেকে সাবিনার লাশ নিয়ে তার মা বাবা দেশের বাড়ি ময়মনসিংহ রওয়ানা হন।
সোনাইমুড়ী থানার ওসি ইসমাইল মিয়া বলেন, নিহত গৃহবধূর ময়না তদন্ত ঢাকা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে শেষ হয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট আসলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিডি-প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন