দিনাজপুরে ধর্মীয় ভাবগাম্ভির্য এবং ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দিপনার মধ্য দিয়ে পালিত হয়েছে সূর্য পূজা। স্থানীয়ভাবে এ পূজাকে বলা হয় ছট পূজা। প্রতিবছর কালী পূজার পর শুক্লা পক্ষের ষষ্টি তিথিতে নদীর তীরে সূর্য দেবতাকে সন্তুষ্ট করতে এই পূজা উদযাপন করা হয়।
মনোবাসনা পূর্ণ, আপদ-বিপদ দুরীকরণসহ বিভিন্ন মানত পূরণে হিন্দু ধর্মাবলম্বীর হরিজন, রবিদাস ও রজক সম্প্রদায়সহ বিভিন্ন সম্প্রদায়ের হাজার হাজার পূণ্যার্থীর সমাগম ঘটে দিনাজপুরের পূণর্ভবা নদীতে এ সূর্য্য পূজায়। নদীর তীরে পূণ্যার্থীদের পদচারণায় এক মিলন মেলার সৃষ্টি হয়।
সূর্য পূজার প্রথম দিনে ২৬ অক্টোবর বিকেলে পূণ্যার্থীরা উপবাস থেকে ফুল, প্রসাদ, বাদ্য-বাজনাসহ বিভিন্ন পূজার সামগ্রী নিয়ে দিনাজপুরের পূণর্ভবা নদীর তীরে উপস্থিত হয়। সেদিন সূর্য্য অস্ত যওয়ার পূর্ব মুহূর্তে পূণ্যার্থীরা নদীতে গোসল এবং হাটু পানিতে দাঁড়িয়ে সূর্যের দিকে মুখ করে কুলায় সাজানো প্রসাদ নিয়ে পূজা শুরু করে। সূর্য অস্ত যাওয়ার পর সকলেই বাড়িতে ফিরে যান।
আবার পরের দিন ২৭ অক্টোবর শুক্রবার নদীর তীরে উপস্থিত হয়ে সূর্য উদয় হওয়ার পূর্ব মুহূর্ত থেকে একই নিয়মে পূজা শুরু করেন তারা। সূর্য উদয় হওয়ার পর সূর্যকে প্রণাম করে নদীতে স্নান এবং সরবত পানের মধ্যে দিয়ে শেষ করেন সূর্য পূজা। পূজা শেষে একে অন্যকে আবির মাখিয়ে দেন পূণ্যার্থীরা।
সূর্য পূজা করতে আসা ঈশ্বর চন্দ্র গুপ্ত, মালা সরকার ও শুক্লা সাহা বলেন, সূর্য দেবতাকে সন্তুষ্ট করতেই এই পূজা করে থাকি। এ পূজার মাধ্যমে সূর্য দেবতা সন্তুষ্ট হয় মনবাসনা, মানত পূরণ করে দেয়।
শুক্রবার সূর্য পুজা হিন্দু ধর্মালম্বীর হরিজন, রবিদাস ও রজক সম্প্রদায়ের হলেও পূণর্ভবা নদীতে ওই পূজা ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে এক মিলন মেলায় পরিণত হয়।
বিডি প্রতিদিন/২৭ অক্টোবর ২০১৭/হিমেল