ফরিদপুরে পুলিশের গ্রেফতার আতঙ্কে ভুগছেন জেলা ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা। গত কয়েকদিনে জেলা ছাত্রদলের বেশকিছু নেতা-কর্মীকে আটক করা হয়েছে। ফলে ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে গ্রেফতার আতঙ্ক বিরাজ করছে।
ছাত্রদলের নেতাদের অভিযোগ, বর্তমানে আন্দোলন-সংগ্রামে ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা সভা-সমাবেশ অব্যাহত রাখার কারণেই তাদের উপর জুলুম-নির্যাতন চালানো হচ্ছে। ছাত্রদলের মনোবল ভেঙে দিতেই পুলিশ একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করে তাদের নেতা-কর্মীদের হয়রানী করছে। তবে পুলিশ বলছে, পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় ৪০ জনকে আসামি করে যে মামলাটি হয়েছে সেটির উপর ভিত্তি করেই আসামিদের আটক করা হচ্ছে। নিরিহ কাউকে আটক কিংবা হয়রানী করা হচ্ছে না।
বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নামে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারির প্রতিবাদে গত ২৪ অক্টোবর ফরিদপুর জেলা ছাত্রদলের উদ্যোগে শহরে একটি বিক্ষোভ মিছিল হয়। বেলা ১১টার দিকে বিক্ষোভ মিছিলটি মমিন ম্যানশনের সামনে থেকে বের হয়ে ভাংগা রাস্তার মোড়ে গেলে পুলিশ তাতে বাঁধা প্রদান করে। এসময় পুলিশের সাথে মিছিলে থাকা নেতা-কর্মীদের কিছুটা ধস্তাধস্তি হয়। পরে মিছিলটি পন্ড হয়ে যায়। এ ঘটনার পর কোতয়ালী থানার এসআই অসিম মন্ডল বাদী হয়ে সরকারী কাজে বাঁধাদান ও পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় ৪০ জনকে আসামি করা হয়।
মামলার পর পরই পুলিশ ছাত্রদল নেতা-কর্মীদের আটকের জন্য মাঠে নামে। মঙ্গলবার রাতে শহরের থানা রোডস্থ একটি চাইনিজ রেষ্টুরেন্টের সামনে থেকে আটক করে জেলা ছাত্রদলের সভাপতি, সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান বেনজির আহমেদ তাবরিজকে। বুধবার রাতে আটক করা হয় জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক, পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের সাবেক ভিপি সৈয়দ আদনান হোসেন অনুকে। এছাড়া আটক করা হয় জেলা ছাত্রদলের সদস্য প্লাবন শেখ পিলুকে। শুক্রবার রাতে আটক করা হয় জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক একেএম কিবরিয়া স্বপন, শহর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা মিরাজ ও জেলা ছাত্রদলের ১নং সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মামুন সনেটকে।
প্রতিরাতেই ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের বাসায় পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে বলে ছাত্রদলের একাধিক নেতা জানিয়েছেন। ছাত্রদলের সভাপতিসহ কয়েক নেতা আটকের পর পরই গ্রেফতার আতঙ্কে ভুগছেন নেতা-কর্মীরা। ফলে অনেকেই পুলিশের গ্রেফতার এড়াতে অন্যত্র থাকছেন।
এদিকে, বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল নেতাদের নামে মিথ্যা মামলা দায়ের ও নেতা-কর্মীদের আটকের ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ।
বিডি প্রতিদিন/২৮ অক্টোবর ২০১৭/হিমেল