নলছিটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে কর্মস্থলে চিকিৎসা সেবা বাদ দিয়ে একটি ডায়গনস্টিক সেন্টারে আল্ট্রাসনোগ্রাম করানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। হাসপাতালে তার নির্ধারিত ডিউটি থাকলেও শনিবার তাকে পাওয়া যায় ওই ডায়াগনস্টিক সেন্টারে। ওই সময় তিনি ঝালকাঠির বানি ডায়গনস্টিক সেন্টারে অবস্থান করে রোগিদের আল্ট্রাসনোগ্রাম করানোর কাজে ব্যস্ত ছিলেন।
জানা গেছে, ফারজানা ইয়াসমিন মুক্তা নলছিটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাক্তার হলেও তিনি নিয়মিত রোগি দেখেন ঝালকাঠির বানি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে। আজ সকালে তিনি নির্ধারিত ডিউটি বাদ দিয়ে ঝালকাঠির পূর্বচাঁদকাঠি এলাকার বানি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে আল্ট্রাসনোগ্রাম করাতে যান। খবর পেয়ে স্থানীয় সংবাদিকরা ওই ডায়াগনস্টিক সেন্টারে গেলে তিনি মুখ ঢেকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এসময় কর্মস্থলে চিকিৎসা সেবা বাদ দিয়ে এই ডায়গনষ্টিক সেন্টারে এসে কেন আল্ট্রাসনোগ্রাম করাচ্ছেন জানতে চাইলে ফারজানা ইয়াসমিন মুক্তা বলেন, আমি মৌখিকভাবে অনুমতি নিয়ে এসেছি।
তাৎক্ষণিকভাবে এ বিষয়ে নলছিটি উপজেলা স্বাস্থ্য ও প. প. কর্মকর্তা ডা. মানষ কৃষ্ণ কুন্ডু জানান, ডা. ফারজানা ইয়াসমিন তার পারিবারিক সমস্যার কথা বলে এখান থেকে চলে যায়। এরপর তিনি একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে চিকিৎসা দিচ্ছেন বলে জানতে পারি। এ ঘটনায় তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হবে। এ প্রসঙ্গে সিভিল সার্জন ডা. শ্যামল কৃষ্ণ হাওলাদার বলেন, চিকিৎসকরা কর্মক্ষেত্রে না থেকে অফিস চলাকালিন সময়ে ডায়গনস্টিক সেন্টারে কাজ করা অনৈতিক। আমি খোঁজ-খবর নিয়ে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিব।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার