প্রেমে সাড়া না দেয়ায় লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার সানিয়াজান ইউনিয়নের ঠ্যাংঝাড়া গ্রামে ৫ম শ্রেণির এক ছাত্রীকে প্রকাশ্যে চুমু দিয়েছে শাকিল নামে এক বখাটে। এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ করা হলে শাকিলকে আটকের পর মুচলেকা দিয়ে ছেড়ে দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।
অভিযুক্ত বখাটে শাকিল সানিয়াজান ইউনিয়নের আব্দুল খালেক ও শাহানা বেগমের বড় ছেলে। সে ঠ্যাংঝাড়া হাবিবুর রহমান উচ্চ বিদ্যালয় এর ৭ম শ্রেণীর ছাত্র।
জানা গেছে, উপজেলার সানিয়াজান ইউনিয়নে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণির ওই ছাত্রীর বাবা-মা ঢাকার একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। এজন্য খালার বাড়িতে থেকে পড়াশোনা করে আসছে সে। এই অবস্থায় প্রায় ৮ মাস আগে ওই মেয়েকে প্রেমের প্রস্তাব দেয় প্রতিবেশী শাকিল। মেয়েটি ওই প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় স্কুলে যাওয়া আসার পথে প্রায় সময় তাকে উত্যক্তের শিকার হতে হয়। ফলে এমন উত্যক্তের বিষয় নিয়ে নিজ স্কুলের শিক্ষকদের কাছে নালিশ জানায় মেয়েটি। এরই প্রেক্ষিতে স্কুলের প্রধান শিক্ষক ছেলেটির বাবা-মাকে বিষয়টি অবহিত করেন। কিন্তু এতে ক্ষুদ্ধ হয়ে উঠেন শাকিল।
আর তাই গত মঙ্গলবার মেয়েটি যখন স্কুল শেষে বাড়ি ফিরছিল, ঠিক তখনই রাস্তায় একা পেয়ে মেয়েটিকে চুমু দিয়ে দ্রুত সটকে পড়ে শাকিল। আর এ ঘটনায় প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান বাদি হয়ে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন।
ওই অভিযোগের প্রেক্ষিতে বুধবার বিকেলে শাকিলকে আটক করে পুলিশ হাতীবান্ধা উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তার ভ্রাম্যমাণ আদালতে হাজির করে। সেখানে আর কখনো এধরণের অপরাধ করবে না বলে অঙ্গীকার করে মুচলেকা দেয় ছেলেটি। পরে অভিযুক্ত শাকিলের বাবাও মুচলেকা দিয়ে তাকে ছড়িয়ে নেন।
এ বিষয়ে হাতীবান্ধা থানার উপ-পরিদর্শক নুর আলম বলেন, বুধবার বিকেলে শাকিলকে আটক করে উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তার ভ্রাম্যমাণ আদালতে হাজির করা হয়। সেখানে ইউ.পি চেয়ারম্যান, দুই স্কুলের প্রধান শিক্ষক, অভিভাবকরাসহ উপজেলা প্রশাসনের ঊর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে ছেলেটি ও তার বাবা মুচলেকা দিলে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়।
এ বিষয়ে মেয়েটির স্কুলের প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান বলেন, ইউএনও ওই শাকিল ও তার পরিবারের মুচলেকা নিয়ে তাকে ছেড়ে দিয়েছেন। আশা করি মেয়েটির স্বাভাবিক শিক্ষার পথকে আর কেউ বাধাগ্রস্থ করতে পারবে না।
এ বিষয়ে হাতীবান্ধা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আমিনুল ইসলাম বলেন, বয়স কম থাকায় তাকে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। এরপরে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া গেলে কঠিন শাস্তি দেয়া হবে।
বিডি প্রতিদিন/০৩ নভেম্বর ২০১৭/এনায়েত করিম