ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলায় ভুল অপারেশনে আকলিমা খাতুন (৩৪) নামে এক প্রসূতির মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আজ কালীগঞ্জ মেইন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় হাসনা নামের একটি বেসরকারি ক্লিনিকে তিনি মারা যান। এ সময় রোগীর স্বজনরা ক্ষিপ্ত হয়ে ক্লিনিকের অফিস রুম ভাঙচুর করেন। ক্লিনিকে ভর্তি থাকা রোগীরাও অন্যত্র চলে যায়। আকলিমা কালীগঞ্জ পৌরসভার আড়পাড়া গ্রামের মাজেদুল ইসলামের স্ত্রী। তিনি ওই ক্লিনিকে একটি ছেলে সন্তানের জন্ম দেন। বাচ্চাটি সুস্থ আছে।
আকলিমার স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শুক্রবার সকালে প্রসব বেদনা উঠলে তাকে স্থানীয় বেসরকারি হাসনা ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। দুপুর আড়াইটার দিকে ডা. প্রতাপ কুমার অস্ত্রোপচার করেন। এরপর থেকে তার রক্তক্ষরণ শুরু হয়। কিন্তু ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ ও ডাক্তারকে অনেকবার বলা সত্ত্বেও তারা গুরুত্ব দেন না। এখানকার নার্সরা অনভিজ্ঞ। ফলে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে আজ সকাল সাড়ে ১১টার দিকে আকলিমা মারা যান।
আকলিমার স্বামীর বড় ভাই মাসুদুর রহমান জানান, ক্লিনিকের ব্যবস্থাপনা খুবই খারাপ। অপারেশনের পর থেকে রোগীর অবস্থা অবনতি হতে থাকলে বারবার ডাক্তার ও ক্লিনিক মালিককে জানানোর পরও তারা কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে শনিবার সকালে আকলিমা মারা যান। সময় মতো প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিলে হয়তো বা তাকে বাঁচানো যেত। এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ দায়েরের প্রস্তুুতি নেয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।
এদিকে প্রসূতির মৃত্যুর পর থেকে ক্লিনিকের মালিক আব্দুর রহমান পলাতক রয়েছেন। তার ব্যক্তিগত মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করলেও নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়। একই ভাবে ডা. প্রতাপ কুমারের মোবাইল নম্বরটিও বন্ধ থাকায় তার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমান খান বলেন, খবর পেয়ে আমি নিজে ক্লিনিকে গিয়েছি। অভিযোগ পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার