জনদুর্ভোগ আরেক নাম লক্ষ্মীপুর-চৌমুহনী আঞ্চলিক মহাসড়ক। খানাখন্দে ভরা সড়কের কোথাও কোথাও ছোট বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। অনেক জায়গায় পিচ ঢালাই উঠে চলাচলের অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে সড়কটি। বেহাল সড়কের কারণে সীমাহীন দুর্ভোগে রয়েছে জনসাধারণ। গাড়ি চলছে হেলেদুলে, ঘটছে দুর্ঘটনা। জেলার ব্যবসা বাণিজ্যের উপরও প্রভাব পড়ছে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা। তবে খুব দ্রুত মহাসড়কটি সংস্কারে কাজ শুরু করা হবে বলে জানালেন সড়ক বিভাগ।
সরেজমিন লক্ষ্মীপুর-চৌমুহনী আঞ্চলিক মহাসড়ক ঘুরে দেখা যায়, বাস, ট্রাক সিএনজিসহ বিভিন্ন যানবাহন চলছে হেলেদুলে,স্থানীয়দের মতে চলাচলের অনুপোযোগী একটি সড়কের নাম লক্ষ্মীপুর-চৌমুহনী আঞ্চলিক মহাসড়ক। বহুস্থানে উঠে গেছে পিচ ঢালাই, ৫ থেকে ৬টি স্থান ধেবে গিয়ে মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। জেলার রায়পুর শহর থেকে শুরু করে পুরো সড়ক জুড়ে ছোট বড় খানাখন্দ ত আছেই, বিশেষ করে লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জ থেকে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ পর্যন্ত ৮ কিলোমিটার এলাকা চরম খারাপ। অতিবৃষ্টি আর দীর্ঘদিন ধরে সংস্কারের অভাবে সড়কটির এমন বেহাল দশা সৃষ্টি হয়েছে। এসব স্থানে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। ঝুঁকি নিয়ে যাত্রী, রোগী ও চালকরা সীমাহীন দুর্ভোগে চলাচল করছেন বলে জানান।
জানা যায়, লক্ষ্মীপুরের প্রায় ১৬ লাখ মানুষ ও ভোলা-বরিশালসহ দেশের দক্ষিণাঞ্চলের ২০টি জেলার মানুষের যাতায়াতের প্রধান সড়ক এটি, প্রতিদিন ওই সড়কে ছোট বড় ১৫ থেকে ২০ হাজার যানবাহন চলাচল করছে। ওই রুটে চলাচলকৃত বিভিন্ন যানবাহনের চালক ও যাত্রীরা জানান, রায়পুর থেকে নোয়াখালীর চৌরাস্তা পৌঁছাতে যেখানে সময় লাগতো ২ ঘন্টা, সেখানে এখন সময় লাগে ৪/৫ ঘন্টা। বেহাল সড়কের কারণে সীমাহীন দুর্ভোগে রয়েছে বলে জানান তারা।
এদিকে বেহাল সড়কের কারণে জেলার ব্যবসা বাণিজ্যের উপরও প্রভাব পড়ছে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা। পণ্যবাহী যানবাহনও আসতে চাইছে না এখন। অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে পণ্য আনলেও ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন জানিয়ে দ্রুত সড়ক সংস্কারের দাবি জানান বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ। না হলে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের হুশিয়ারি দেন বণিক সমিতির এ নেতা। আর সচেতন মহল মনে করছেন, বেহাল সড়কের কারণে বর্তমান সরকারের সকল অর্জন ম্লান হয়ে যাচ্ছে। খুব দ্রুত সড়ক সংস্কারের দাবি এখন সবার।
লক্ষ্মীপুর সড়ক ও জনপথের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. আব্দুল কাদের বাংলাদেশ প্রতিদিনকে জানান, সড়কটি সংস্কারের জন্য প্রকল্প পাশ করেছে সরকার। এর মধ্যে ২০ কিলোমিটার এলাকায় রাস্তার দুই পাশ বাড়ানোসহ সংস্কার কাজে ৫২ কোটি ২০লাখ টাকার প্রকল্প ও আরো ২০কিলোমিটার সংস্কার কাজে ৬০ লাখ টাকার প্রকল্প পাশ হয়েছে। অতি দ্রুত তা বাস্তবায়ন করা হবে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার