কলকাতা থেকে ছেড়ে আসা ‘বন্ধন এক্সপ্রেস’ ট্রেনটি বৃহস্পতিবার বিকাল পৌনে ৪টার দিকে খুলনা রেলস্টেশনে এসে পৌছায়। হলুদ ফুলে সজ্জিত গাঢ় লাল-নীল আর সিলভার রঙের মিশেল ট্রেনটিকে ঘিরে ছিলো উচ্ছ্বাস।
রেলওয়ে কর্মকর্তারা জানায়, খুলনা-কলকাতা বন্ধন ট্রেনের এই ঐতিহাসিক যাত্রার সাক্ষী হতে সকাল থেকেই রেলস্টেশনে ছিল উৎসুক জনতার ভীড়। বিকালে ট্রেনটি রেলস্ট্রেশনে প্রবেশের সাথে সাথে তারা করতালি দিয়ে স্বাগত জানায়।
ট্রেনে করে আসা ১৬ সদস্যের ভারতীয় প্রতিনিধি দলকে শুভেচ্ছা জানান বাংলাদেশ রেলওয়ে মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি’র সদস্য ও খুলনা-২ আসনের সাংসদ মিজানুর রহমান। আনুষ্ঠানিকতা শেষে বিকাল সোয়া ৪ টার দিকে ট্রেনটি আবারো কলকাতার উদ্দেশে ছেড়ে যায়।
জানা যায়, আগামী ১৬ নভেম্বর থেকে খুলনা-কলকাতা ট্রেন সার্ভিসটি বানিজ্যিকভাবে যাত্রী পরিবহন করবে। ওই দিন দুপুরে যাত্রী নিয়ে কলকাতার উদ্দেশে খুলনা ছাড়বে প্রথম বানিজ্যিক ট্রেন। এদিকে ট্রেনের সময়সূচি নির্ধারণ হওয়ায় বৃহস্পতিবার থেকেই খুলনা স্টেশনে শুরু হয়েছে টিকিট বিক্রি। ট্রেনটিতে ৮ টি কোচে ৪৫৬ টি আসন থাকবে। খুলনা থেকে রেলপথে কলকাতার দূরত্ব প্রায় ১৭৭ কিলোমিটার। আর এজন্য ট্রেনে সময় লাগবে প্রায় সাড়ে ৪ ঘণ্টা।
বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির মহাসচিব শেখ আশরাফ-উজ্জামান বলেন, প্রতিদিন দক্ষিণাঞ্চল থেকে অসংখ্য মানুষ চিকিৎসা সেবাসহ নানা কারণে ভারতে যাতায়াত করেন। দীর্ঘ প্রতিক্ষিত ট্রেন সার্ভিসটি চালু হওয়ায় যাতায়াতের ভোগান্তি কমার পাশাপাশি দু’দেশের মধ্যে ব্যবসা-বানিজ্যের ক্ষেত্রে অনুকুল পরিবেশ তৈরি
বিডি-প্রতিদিন/ আব্দুল্লাহ সিফাত তাফসীর