পাবনায় জলাশয়ে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে ওয়ার্ড যুবলীগ কর্মীকে কুপিয়ে জখম করেছে দূর্বৃত্তরা।
শনিবার দিবাগত রাত ৯ টার দিকে পাবনা সদরের হেমায়েতপুরে এই ঘটনা ঘটে।
পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাালে ভর্তি করেছেন। আহত যুবলীগ কর্মী হেময়েতপুর গ্রামের মৃত পায়ের উদ্দিনের ছেলে আহমেদ আলী ও হেমায়েতপুর ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ড যুবলীগের সদস্য।
পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক বলেন, শনিবার রাত ৯ টার দিকে হেমায়েতপুর ইউনিয়নের টাঙ্কিপাড়া এলাকায় নিজ বাড়িতে অবস্থান করছিল। এ সময় ওই এলাকার মৃত খলিল খাঁর ৫ ছেলে এবং তার পরিবারের লোকজন মিলে বাড়িতে ঢুকে তার উপর হামলা চালিয়ে কুপিয়ে জখম করে। আহমেদের স্ত্রী চায়না খাতুন বাধা দিতে গেলে সন্ত্রাসীরা তাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। তাদের আর্ত চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসীরা দৌড়ে পালিয়ে যায়। পরে এলাকাবাসী তাকে উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসে।
ঘটনার বিষয়ে আহমেদ’র স্ত্রী চায়না খাতনু বলেন, আমার স্বামীকে এই সন্ত্রাসীরা ইতিপূর্বে হত্যা চেষ্টা চালিয়েছিল। বিকেলে পাশের একটি জলাশয়ে মাছ ধরা নিয়ে তাদের সাথে কথা কাটাকাটি হয়। পরে তারা দলবল নিয়ে রাতে বাড়ির উপর হামলা করে। এ সময় আমি আমার স্বামী বাড়িতে ছিলাম। আমার চিৎকারে এলাকাসী এগিয়ে এলে তারা পালিয়ে যায়। আমি এই সন্ত্রাসীদের দৃষ্টান্ত শূলক শাস্তির চাই।
এ বিষয়ে পাবনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎক ডাঃ মাহিবুল ইসলাম বলেন, মাথায় রড দিয়ে আঘাত করা ও ধারালো অস্ত্রাঘাতের চিহ্ন রযেছে। শরীরের বিভিন্ন স্থানে ও মাথার বেশ কিছু সেনসেটিভ জায়গাতে ধারালো অস্ত্রের আঘাত পেয়েছে, তার মাথায় ১২টি সেলাই দেয়া হয়েছে। ২৪ ঘন্টা না পার হওয়া পর্যন্ত এই রোগীর অবস্থা বুঝা যাচ্ছে না বলেও জানান তিনি।
পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল রাজ্জাক আরো জানান, মোবাইলের মাধ্যমে আমি খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক পুলিশ পাঠিয়েছি। বর্তমানে ওই এলাকার পরিবেশ স্বাভাবিক রয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পেলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করবো।
বিডিপ্রতিদিন/ ১১ নভেম্বর, ২০১৭/ ই জাহান