শিক্ষা বোর্ডের নির্দেশকে উপেক্ষা করে টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার বিভিন্ন বিদ্যালয়ে ও মাদরাসায় এসএসসি ও দাখিল পরীক্ষার ফরম পূরণে অতিরিক্ত ফি আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এর ফলে বিপাকে পড়ছে দরিদ্র পরিবারের মেধাবী শিক্ষার্থীরা। হয়রানির ভয়ে প্রকাশ্যে অভিযোগ করছেন না অভিভাবক কিংবা শিক্ষার্থীরাও।
শিক্ষা বোর্ড সূত্রে জানা যায়, চলতি বছর এসএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণে ঢাকা বোর্ড শিক্ষার্থী প্রতি সর্বোচ্চ ১ হাজার ৫৫০ টাকা নির্ধারণ করেছে। মাদরাসা ও স্কুলগুলো ভৌতিক পাওনা, কোচিং ফি, উন্নয়ন ও নানাবিধ খাত দেখিয়ে বোর্ড নির্ধারিত ফি’র দ্বিগুন থেকে তিনগুন বেশী অর্থ আদায় করে ফরম পূরণ করছে। এতে করে শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের মাঝে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।
উপজেলার চানতারা গণ উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. শহিদুল ইসলাম জানান, তার বিদ্যালয়ে বেশি ফি আদায় করা হচ্ছে না। অথচ শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, বিদ্যালয়টি ভৌতিক খাতসহ ২ হাজার ৯ শত টাকা এবং কোচিংয়ের জন্য বাড়তি আরো এক হাজার টাকা ধরা হয়েছে। অথচ শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক কোচিং ফি আদায়ে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও তা মানা হচ্ছে না। আদায়কৃত টাকার কোন রশিদও প্রদান করা হচ্ছে না বলে জানা যায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক চানতারা গণ উচ্চ বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগের একজন ছাত্রের অভিভাবক জানান, বিজ্ঞান বিভাগে ফরম পূরণে ২ হাজার ৫ শত টাকা নিয়েছে।
লোকের পাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক আখতারুজ্জামান বলেন, বকেয়া বেতন ও কোচিং ফি মিলিয়ে ফরম পূরণে ৩ হাজার ৫ শত টাকা ধার্য় করা হয়েছে। তবে ৩ হাজারের উপরে কোন শিক্ষার্থী টাকা দিচ্ছে না।
বাইচাইল ইসলামিয়া দাখিল মাদরাসায় ৪ হাজার টাকা নিয়ে ফরম পূরণ করছে সুপার আজহারুল ইসলাম। এমনটা অভিযোগ করেছে ওই মাদরাসার শিক্ষার্থীরা। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে সুপার বলেন, আমরা ২ হাজার টাকা নিয়ে ফরম পূরণ করতেছি। বাড়তি টাকা নিচ্ছি না।
বাড়তি ফি আদায়ের বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এ কে এম শামসুল হক জানান, সরকারীভাবে ফরম পূরণের জন্য অতিরিক্ত ফি আদায়ে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। কোন প্রতিষ্ঠান অতিরিক্ত ফি আদায় করছে এমন অভিযোগ পেলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিডি প্রতিদিন/১২ নভেম্বর ২০১৭/হিমেল