বগুড়ার গাবতলীতে ব্যবসায়ী তোজাম্মেল হোসেন তোজাম হত্যা মামলায় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন মিঠুসহ দুই জনকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। বগুড়া শহরের চারমাথা এলাকা থেকে গাবতলী উপজেলার দুর্গাহাটা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন মিঠু ও তার ভাতিজা মোহাম্মদ শান্তকে (৩০) গ্রেফতার করার পর আজ আদালতে প্রেরণ করেছে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃত দুর্গাহাটা ইউপি পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন মিঠু বঠিয়াভাঙ্গা গ্রামের মোজাহার আলী সাকিদারের ছেলে এবং তার ভাতিজা শান্ত একই গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে।
বগুড়ার গাবতলী উপজেলার তোজাম হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ওসি অপরেশন্স সনাতন চন্দ্র সরকার জানান, ব্যবসায়ী তোজাম্মেল হোসেন তোজামকে হত্যার পরের দিন ২৮ নভেম্বর রাতে তার ছোট ভাই আব্দুল মোমিন বাদী হয়ে গাবতলী মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। এই মামলায় গাবতলী উপজেরার দুর্গাহাটা গ্রামের গুটুর ছেলে বাবুল হোসেনকে প্রধান ও চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন মিঠুসহ ১০ জনের নাম উল্লেখ করে আরো ৩ থেকে ৪ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে। হত্যার কাজে ব্যবহৃত মোটরসাইকেল জেলার সারিয়াকান্দি উপজেলার মাজবাড়ী গ্রামের প্রবাসী আব্দুল জলিলের বাড়ী হতে উদ্ধার করা হয়েছে।
বগুড়ার গাবতলী থানা পুলিশ জানায়, ২৭ নভেম্বর সন্ধ্যায় ৬ দুর্গাহাটা গ্রামের মৃত ওছমান আলী মোল্লার ২য় ছেলে নিহত ব্যবসায়ী তোজাম্মেল হোসেন তোজাম তার সহযোগি নিয়ে পূর্ব বঠিয়াভাঙ্গা গ্রামে বিয়ের নিমন্ত্রণ খেয়ে মোটরসাইকেল যোগে বাড়ি ফিরছিলেন। পথে দক্ষিণ বঠিয়াভাঙ্গা দুর্গাহাটা চৌরাস্তা নামক স্থানে একদল সন্ত্রাসী মোটরসাইকেল যোগে এসে তাদের উপর হামলা করে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ফেলে রেখে যায়। পথচারীরা তাদের উদ্ধার করে বগুড়া শহিদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত ডাক্তার তোজামকে মৃত ঘোষণা করেন এবং নয়নকে গুরুত্বর আহত অবস্থায় ভর্তি করানো হয়। তোজাম ১০ বছর বিদেশ থাকার পর দেশে এসে ধান কেনা বেচা, টিন ও পাইপের ব্যাবসা করতো। গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে নির্বাচনে অংশ নিয়ে পরাজিত হয়েছিল। থানা পুলিশ ধারণা করছে, গত নির্বাচনে প্রার্থী এবং জমিজমা নিয়ে শত্রুতা সৃষ্টির কারণে এই হত্যাকান্ড ঘটতে পারে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার