শিরোনাম
- শীর্ষে ওঠার লড়াইয়ে আজ মুখোমুখি মুম্বাই-গুজরাট
- জার্মানির চ্যান্সেলর দৌঁড়ে শোচনীয় পরাজয় মেৎসের
- সূচকের সঙ্গে কমেছে ডিএসইর লেনদেন
- কলাপাড়ায় বাল্যবিবাহ বন্ধে শিক্ষার্থীদের র্যালি
- ‘যে কোনো সময় হামলা চালাবে ভারত, পাল্টা প্রতিঘাতে প্রস্তুত পাকিস্তান’
- পঞ্চগড়ে অধ্যক্ষ পদায়নের প্রতিবাদে কলেজ ছাত্রীদের বিক্ষোভ
- নেত্রকোনায় রবীন্দ্র-নজরুল জন্মজয়ন্তী উদযাপনে প্রস্তুতি সভা
- গ্রিন এন্ড ক্লিন নারায়ণগঞ্জ বাস্তবায়নে দিনব্যাপী কর্মশালা
- রাজশাহীর সাবেক দুই উপজেলা চেয়ারম্যানের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
- রাজধানীতে এক রাতে চার অস্বাভাবিক মৃত্যু
- বানারীপাড়ায় তিন ডাকাত গ্রেপ্তার
- ১১ বছর পর যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার
- কাতার সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ খালেদা জিয়ার
- শামিকে প্রাণনাশের হুমকি, ১ কোটি রুপি দাবি
- সিন্ধু চুক্তি স্থগিতকে মানবতাবিরোধী অপরাধ বললেন বিলওয়াল ভুট্টো
- চাঁপাইনবাবগঞ্জে আম ব্যাবসায়ী-চাষী-উদ্যোক্তাদের নিয়ে সম্মেলন অনুষ্ঠিত
- রাজধানীর মোহাম্মদপুরে বিশেষ অভিযানে গ্রেফতার ২০
- সাবেক ডিবি প্রধান হারুনের ঘনিষ্ঠ জাহাঙ্গীরের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
- উপাচার্যের অপসারণ দাবিতে ববির প্রশাসনিক ভবনে তালা
- রায়পুরায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সংঘর্ষ, নিহত ১
নলডাঙ্গায় হাসপাতালে নবজাতকের মৃত্যুর পর স্বজনদের সাথে আপোস
নাটোর প্রতিনিধি:
অনলাইন ভার্সন

নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার বিসমিল্লাহ হাসপাতালে মুসলিমা নামের এক প্রসূতির সিজারের মাধ্যমে জন্ম নেয়ার ৭ ঘন্টা পর এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।মঙ্গলবার বিকাল ৫টায় বেসরকারি বিসমিল্লাহ হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটলে রাতে নিহত শিশুটির স্বজনদের সাথে হাসপাতাল কৃতপক্ষ আপোস মিমাংসা করে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়া হয়। প্রসূতি মুসলিমা খাতুন উপজেলার সূর্যবাড়ির মৃত মোসলেম উদ্দিনের মেয়ে ও নাটোর রসনগর এলাকার রানা হোসেনের স্ত্রী।
নিহত শিশুটির স্বজন ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, উপজেলার সূর্যবাড়ি গ্রামের মৃত মসলেম উদ্দিনের মেয়ে মুসলিমা খাতুন (২১) প্রসব ব্যাথা নিয়ে নলডাঙ্গা বিসমিল্লাহ হাসপাতালে ভর্ত্তি হয়। গত ২৮ নভেম্বর মঙ্গলবার সকাল ১০টায় ডা. আখের আলীর তত্বাবধায়নে সিজারের মাধ্যমে একটি ফুটফুটে কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। কিন্ত বিকালে শিশুটির কান্নাকাটি করতে লাগলে ওই হাসপাতালের ডা. আবদুল্লা একটি ইনজেকশান পুশ করতে বলেন। হাসপাতালের দায়িত্বরত নার্স ইনজেকশনটি শিশুটির শরীরে পুশ করার এক ঘন্টা পর শিশুটি মারা যায়।
নিহত শিশুটির মামা ইসাহাক আলী জানান, ওই হাসপাতালের ডা. আবদুল্লার লিখে দেওয়া ইনজেকশন পুশ করার কিছুক্ষণের মধ্যে শিশুটি মারা যায়।তবে কী ইনজেকশন পুশ করা হয়েছিল, তা তিনি বলতে পারেনি। নিহত শিশুটির বাবা রানা হোসেনের সাথে যোগাযোগ করলে বিষয়টি নিয়ে আপোস মিমাংসা করা হচ্ছে বলে এখন কিছু বলা যাবে না বলে জানিয়ে দেন।তবে নিহত শিশুটির মৃত্যু নিয়ে আপোস-মিমাংসা শালিসি বৈঠকে উপস্থিত নাম প্রকাশে দুইজন ব্যাক্তি জানান, হাসপাতালের ফি বাবদ ১০ হাজার টাকা রোগীর স্বজনদের দিতে হবে না এবং হাসপাতাল কৃতপক্ষ রোগীর স্বজনদের ৪০ হাজার টাকা নগদে পরিশোধ করার শর্তে আপোস-মিমাংসা করা হয়।ওই শালিসি বৈঠকে স্থানীয় দু'জন জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
ওই হাসপাতালের ডা. আখের আলী জানান, শিশুটি জন্ম নেওয়ার পর বেশ সুস্থ ছিল।কিন্তু কি করে মারা গেল এটা বলতে পারিনা। স্থানীয়দের অভিযোগ এর আগে ওই হাসপাতালে প্রবাসী এক যুবকের রক্ত পরীক্ষার রির্পোটে এইচ আরভি পজেটিভ ধরা পরেছিল।পরে অন্য হাসপাতালের পরীক্ষায় তা ভুল প্রমাণিত হয়েছিল। নলডাঙ্গা বিসমিল্লাহ হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনোয়ার হোসেন নগদ টাকার বিনিময়ে আপোস-মিমাংসার অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, শিশুটি জন্মগ্রহণ করার পর ইনজেকশান পুশ করার কারণে নয় তার স্বজনরা তেল জাতীয় কিছু খাওয়ানোর কারণে এ শিশুটির মৃত্যু হতে পারে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার
এই বিভাগের আরও খবর