কুমিল্লার লাকসামে ট্রেন চালকের দক্ষতায় বড় ধরনের দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেয়েছে একটি ডেমু ট্রেন। এতে বাঁচলো ট্রেনের দুই শতাধিক যাত্রীর প্রাণ।
ডেমু ট্রেনের চালক ও যাত্রী সূত্রে জানা যায়, নোয়াখালী থেকে কুমিল্লার উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা নির্দিষ্ট ডেমু ট্রেনটি শনিবার দুপুর ১২টা ১৫ মিনিটে লাকসামে যাত্রা বিরতি দেয়। কিছু সময় পর লাইন ক্লিয়ার দেখে চালক ট্রেনটি ছেড়ে দেয়। ট্রেনটি স্টেশনের পয়েন্ট ২১-বি লাইন দিয়ে লোকশেড পর্যন্ত পৌঁছানোর সময় ট্রেনের চালক কামাল হোসেন দেখতে পান রেললাইনের ট্রেপ (ট্রেন স্টেশনে প্রবেশ ও বাইর হওয়ার সময় ট্রেনের লাইন পরিবর্তনের জন্য রেললাইনের ফাঁকা স্থান বিশিষ্ট একধরনের সিগনাল বিশেষ) ফাঁকা রয়েছে। সাথে সাথে ওই চালক ট্রেনটি থামিয়ে ফেলেন এবং ট্রেনটি আবার প্লাটফর্মে প্রবেশ করান। এসময় ট্রেনের যাত্রীদের মধ্যে উদ্বেগ ও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
পরে ভুল সিগনালিংয়ের জন্য যাত্রীরা স্টেশন কর্তৃপক্ষের সাথে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। নির্দিষ্ট সময়ের প্রায় দেড় ঘণ্টা পরে ট্রেনটি আবার কুমিল্লার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়।
ট্রেনের যাত্রী কুমিল্লা পেইজ ডেভেলপমেন্ট সেন্টারের গিয়াস উদ্দিন নামে এক কর্মকর্তা জানান, ‘আমরা বড় ধরনের দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেয়েছি। ট্রেন দেড়ঘণ্টা পরে ছাড়াতে যাত্রীদের চরম দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে।’
ট্রেনের চালক মো. কামাল হোসেন জানান, ‘ভুল সিগনালিংয়ের জন্য শুক্রবারও এ স্থানে একটি মালবাহী ট্রেন লাইনচ্যুত হয়েছিল। আজও একই ধরনের ভুল হয়েছে। ট্রেপটি থেকে ট্রেনটি মাত্র ১২-১৩ হাত দূরে ছিল। সাথে সাথে ট্রেন না থামাতে পারলে লাইনচ্যুত হয়ে যেত।’
লাকসাম রেল স্টেশনের স্টেশন মাস্টার জালাল উদ্দিন জানান, ‘কেবিনে যারা ছিল তারাই সিগনাল দিয়েছিল। কিছু ভুল-ভ্রান্তি ছিল। কর্নফুলী ট্রেনের জন্য যে সিগনাল দেয়া হয়েছিল, ডেমু ট্রেনের চালক সেসময় লাইন ক্লিয়ার মনে করে ট্রেন ছেড়ে দিয়েছিল।’
বিডি প্রতিদিন/২৭ জানুয়ারি ২০১৮/এনায়েত করিম
