লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে শিশু নুসরাত জাহান নিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত শাহ আলম রুবেল ও তার সহযোগী বোরহান উদ্দিনকে আটক করা হয়েছে।
সোমবার সকালে রামগঞ্জ থানায় প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে এ তথ্য জানান লক্ষ্মীপুরের পুলিশ সুপার। রবিবার রাতে খুলনায় যাওয়ার পথে রুবেলকে ও তার সহযোগী বোরহান উদ্দিনকে উপজেলার নোয়াগাঁও থেকে আটক করা হয়।
পুলিশ সুপার আ স ম মাহতাব উদ্দিন জানান, ২৩ মার্চ শুক্রবার দুপুর থেকে নিখোঁজ হয় শিশু নুসরাত। তিন দিন পর ২৬ মার্চ বস্তাবন্দি অবস্থায় একটি সেতুর নিচে তার লাশ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় এলাকায় বেশ আলোড়ন সৃষ্টি হয়। পরে হত্যার রহস্য উদঘাটনে স্থানীয় এলাকাবাসীর সহযোগিতায় কাজ শুরু করে পুলিশ। হত্যার পর লাশ বহনকারী সিএনজি চালকের তথ্যের ভিত্তিতে সিএনজি ভাড়া করে দেওয়া বোরহান উদ্দিনকে স্থানীয় নোওয়াগাঁও ও খুলনায় যাওয়ার পথে প্রধান অভিযুক্ত শাহ আলম রুবেলকে আটক করা হয়। পরে পুলিশের কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয় রুবেল।
তিনি আরো জানান, রুবেল আইসক্রিম খাওয়া ও টিভি দেখার কথা বলে নুসরাত জাহানকে তার বাসায় ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করে। এক পর্যায়ে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর নিজ ঘরের স্টিলের আলমিরার ওপর চট দিয়ে দুই দিন বেঁধে রাখে। শনিবার রাতে নুসরাতের লাশ সিএনজি যোগে ৩ কিলোমিটার দূরে একটি ব্রিজের নিচে ফেলে দেয়। নিশুর লাশ বহনকারী সিএনজি, ব্যাগ, তার ব্যবহৃত জুতা ও শীতল পাটি আলামত হিসেবে উদ্ধার করা হয়। প্রকৃত ঘটনার রহস্য উদঘাটন হয়েছে বলে দাবি করেন পুলিশ সুপার। নিহত নুসরাত জাহান নিশু ঘাতক শাহ আলম রুবেলের ভাতিজি।
প্রসঙ্গত, নিখোঁজের তিন দিন পর গত ২৬ মার্চ ৭ বছরের শিশু নুসরাত জাহান নিশুর বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিজ বাড়ি থেকে তিন কিলোমিটার দূরে কাঞ্চনপুরের বহ্মপাড়া এলাকায় ব্রিজের নিচ থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
ময়নাতদন্তে প্রতিবেদনে জানা গেছে, নুসরাতকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় নুসরাতের মা রেহানা বেগম বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করে রামগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। এ দিকে হত্যাকাণ্ডের পর থেকে জড়িতদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে রামগঞ্জ উপজেলাসহ বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধনসহ নানা কর্মসূচি পালন করেছে বিভিন্ন শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন।
বিডি প্রতিদিন/২ এপ্রিল, ২০১৮/ফারজানা