গাছের সাথে বেঁধে মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার বাঁশবাড়ীয়া গ্রামের প্রবাসীর স্ত্রী ও তার প্রেমিক রাজমিস্ত্রিকে নির্যাতন করেছে তিন যুবক। আজ রবিবার ভোররাতে ওই নারীর নিজ ঘর থেকে রাজমিস্ত্রি সম্রাটকে অনৈতিক কাজে লিপ্ত থাকার অভিযোগে আটক করে স্থানীয়রা। নির্যাতনের খরব পেয়ে দুপুরে গৃহবধূ ও রাজমিস্ত্রিকে উদ্ধার করে গাংনী থানা হেফাজতে নেয় পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গোপালগঞ্জ জেলার মকসুদপুরের রাজমিস্ত্রি সম্রাট মোল্লা বাঁশবাড়ীয়া গ্রামের একটি মসজিদ নির্মাণ কাজ করছেন দুই মাস ধরে। সেখানে অবস্থান করার কারণে মসজিদের পাশের বাড়ির এক প্রবাসীর স্ত্রীর সাথে তার সাক্ষ্যতা গড়ে ওঠে। আজ ভোররাতে প্রবাসীর ঘর থেকে তার স্ত্রী ও সম্রাটকে আটক করে গাছের সাথে রশি দিয়ে বেঁধে রাখে গ্রামের তিন যুবক। এসময় গৃহবধূ ও সম্রাটকে বেধড়ক মারপিট করা হয়েছে বলে ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেছেন।
নির্যাতিতা মালদ্বীপ প্রবাসী আব্দুর রাজ্জাকের স্ত্রী জানান, কিছুদিন যাবত তাদের পাড়ার এক লম্পট কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল। তার কু-প্রস্তাবে সাড়া না দেওয়ায় এক রাতের আধারে এই রাজমিস্ত্রিকে তার ঘরে তুলে দেয়। এসময় অনৈতিক সম্পর্কের অভিযোগ তুলে ফয়জুদ্দীনের ছেলে গোলাম মোস্তফা,মনিরুল ইসলাম ও তার দুই ছেলে রুবেল হোসেন ও মিলন তাকে গাছের সাথে বেঁধে বেধড়ক মারধর করে।
গোপালগঞ্জ জেলার মকসুদপুর এলাকার মজিবুর মোল্লার ছেলে সম্রাট জানান,গত কয়েকমাস যাবত কলোনীপাড়ার একটি মসজিদ নির্মাণের কাজে নিয়োজিত ছিলেন তিনি। ঘটনার রাতে গ্রামের কিছু যুবব আমাকে জোর করে জানালা দিয়ে প্রবাসীর স্ত্রীর ঘরে ঢুকিয়ে দেয়। এসময় অনৈতিক সম্পর্কের অভিযোগ তুলে স্থানীয়রা তাদের মারধর করে গাছের সাথে বেঁধে রাখে।
গাংনী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হরেন্দ্রনাথ সরকার বলেন, গাছের সাথে বেঁধে রাখার খবর পেয়ে পুলিশ দু’জনকে উদ্ধার করেছে। এ বিষয়ে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। অভিযুক্ত তিন যুবককেও আটকের চেষ্টা করছে পুলিশ।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার