শুধু আমি নই, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেও একজন উন্নয়নের সংস্কারক। রাজনীতিতে সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া। আওয়ামী লীগকে গতিশীল ও শক্তিশালী করার লক্ষে শেখ হাসিনা প্রতিনিয়তই দলের সংস্কার করে চলেছেন। সংস্কার না করলে জীবনও অচল হয়ে যায়, তাই জীবনকেও সচল রাখতে সংস্কারের প্রয়োজন রয়েছে।
রবিবার দুপুরে পাবনার বেড়ায় অবস্থিত নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সাথে এক মতবিনিময় কালে সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক আবু সাইয়িদ এ কথা বলেন।
এ সময় তিনি আরো বলেন, মুসলিম লীগ থেকে আওয়ামী মুসলিম লীগ পরে সেটি আরো সংস্কার হয়ে আওয়ামী লীগ হয়।
দীর্ঘদিন পর পাবনা-১ বেড়া সাঁথিয়ার নিজ নির্বাচনী এলাকায় ফিরে পুরোদমে রাজনৈতিক তৎপরতা শুরু করেছেন বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর ও সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী ড. অধ্যাপক আবু সাইয়িদ।
অধ্যাপক আবু সাইয়িদ বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নের মহাসড়কে বাংলাদেশের বিষ্ময়কর অগ্রযাত্রা শুরু হয়েছে, তা অব্যাহত রাখতে আগামী নির্বাচনে আবারো আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আনা প্রয়োজন বলে তিনি মন্তব্য করেন। সারা দেশে স্বাধীনতা বিরোধী শক্তির অপতৎপরতা রুখতে এবং শেখ হাসিনার উন্নয়নের বার্তা তৃণমূলের মানুষের কাছে পৌছে দিতে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করতে হবে। আজীবন বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে লালন করে বেঁচে আছেন এবং কখনোই আওয়ামী লীগের প্রতিপক্ষ হয়ে কাজ করেন নাই।
দীর্ঘদিন পর এলাকার রাজনীতিতে সক্রিয় হওয়ায় দলের মধ্যে কোন্দলের সৃষ্টি হবে কীনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি কারোর প্রতিপক্ষ নই, শেখ হাসিনাও সেটি অবহিত আছেন। আমার প্রতিপক্ষ মাদক ব্যবসায়ী, দুর্নীতিবাজ, মৌলবাদী শক্তি। আওয়ামী লীগের মতো বড় দলের মধ্যে মতভেদ বা মত পার্থক্য থাকতে পারে, পাশাপাশি নেতৃত্বের প্রতিযোগিতাও থাকতে পারে। তবে কেউ কারোর প্রতিপক্ষ নয়।
মনোনয়নের ব্যাপারে কোন প্রকার সবুজ সংকেত পেয়েছেন কীনা জানতে চাইলে সংবিধানের অন্যতম এই প্রনেতা বলেন, রাজনীতিতে মনোনয়ন বড় কথা নয়, জনগরে কাছে একজন নেতা কতটুকু গ্রহণযোগ্য সেটিই বড় বিষয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাঠ পর্যায় থেকে উঠে আসা রাজনীতিবিদ, তিনি কোন আরোপিত নেত্রী নন। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী জনগণের ইচ্ছে আকাংখার বিষয়টি বুঝতে পারেন।
গত শনিবার তিনি বেড়া উপজেলার কাজীরহাট দিয়ে সহস্র জনতার মোটরসাইকেল ও মাইক্রেবাসের বহর নিয়ে পাবনায় প্রবেশ করেন। আবু সাইয়িদকে অভ্যর্থনা জানাতে রাস্তার দুইপাশে সমর্থকদের ঢল নামে। তারা হাত নেড়ে আবু সাইয়িদকে স্বাগত জানান।
অধ্যাপক আবু সাইয়িদ ১৯৭০, ১৯৭৩ ও ১৯৯৬ সালে পাবনা-১ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
বিডি-প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন