বরিশালের গৌরনদী গার্লস স্কুল এন্ড কলেজ কেন্দ্রে প্রশাসনের ছত্রছায়ায় এইচএসসির অনিয়মিত পরীক্ষার্থী এক ছাত্রলীগ নেতার পক্ষে দুই দিন ধরে প্রক্সি পরীক্ষা দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আজ রবিবার প্রক্সি পরীক্ষাদাতাকে হাতেনাতে আটক করার পরও তাকে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মো. মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে। এমনকি প্রক্সি পরীক্ষার সুযোগ নেওয়া ছাত্রলীগ নেতা ওই পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কারও করেনি কর্তৃপক্ষ। এ নিয়ে স্থানীদের মাঝে চরম ক্ষোভের সৃস্টি হয়েছে।
গৌরনদী গার্লস স্কুল এন্ড কলেজ কেন্দ্র সূত্র জানায়, গৌরনদী সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের ক্রীড়া সম্পাদক ও একই কলেজের ছাত্র আরিফ মিয়া (রোল: ৮১২১৮৩) একজন অনিয়মিত এইচএসসি পরীক্ষার্থী। তার বাংলা ও যুক্তিবিদ্যা বিষয়ের পরীক্ষা কেন্দ্র গৌরনদী গার্লস স্কুল এন্ড কলেজ। আজ ছিল যুক্তবিদ্যা বিষয়ের দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষা। ওই কেন্দ্রের ১৩ নম্বর কক্ষে ছাত্রলীগ নেতা আরিফের পক্ষে কেউ প্রক্সি পরীক্ষা দিচ্ছে- খবর পেয়ে কেন্দ্র পরিদর্শন করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মিজানুর রহমান। তিনি প্রক্সিদাতাকে হাতেনাতে ধরে উত্তরপত্র কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করেন। এর মধ্যে বিভিন্ন জায়গা থেকে সুপারিশ শুরু হলে কৌশলে প্রক্সিদাতাকে ছেড়ে দেন তিনি।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) মিজানুর রহমান বলেন, গার্লস স্কুল এন্ড কলেজ কেন্দ্রে কেউ প্রক্সি দিচ্ছে এমন খবর পেয়ে দ্রুত তিনি কেন্দ্র পরিদর্শন করেন। ১৩ নম্বর কক্ষে প্রবেশ করে দেখেন উত্তরপত্র ফেলে প্রক্সিদাতা পরীক্ষার্থী পালিয়ে গেছে। এরপর উত্তরপত্র জব্দ করে কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন তিনি।
গৌরনদী সরকারী কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আরিফ মিয়া একজন অনিয়মিত পরীক্ষার্থী। বাংলা ও যুক্তিবিদ্যা বিষয়ে পরীক্ষা দিচ্ছে সে। আজ ছিল সবশেষ যুক্তিবিদ্যা দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষা। এবার পাস না করলে আগামীতে তাকে আবার নবম শ্রেণি থেকে পড়াশোনা শুরু করতে হবে। এ কারণে মানবিক বিবেচনায় তাকে বহিষ্কার করা হয়নি বলে দাবি অধ্যক্ষ আব্দুর রাজ্জাকের।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার