৫০ হাজার টাকার চুক্তিতে হত্যা করা হয় কেরানীগঞ্জের শাহদাত হোসেনকে। এ হত্যাকান্ডের মূল আসামি লিটন মিয়াকে গতকাল শনিবার নারায়নগঞ্জ থেকে আটক করেছে পুলিশ। এরপর বেরিয়ে আসে হত্যার আসল রহস্য। আজ বিকেলে শরীয়তপুর পুলিশ সুপার কার্যালয়ে প্রেসব্রিফিং এ তথ্য জানান পুলিশ সুপার আব্দুল মোমেন।
পুলিশ জানায়, শাহদাত কেরানীগঞ্জের একটি পিকাআপ গাড়িতে ড্রাইভার হিসেবে চাকরি করতেন। ঘনিষ্ঠ বন্ধু আসামি লিটনের ৭২ হাজার টাকা আত্নসাত করার কারণে শাহদাতকে ৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে খুনের পরিকল্পনা করে লিটন। পরে ভারাটিয়া খুনিদের সহযোগিতায় শাহাদাতকে আপহরণ করে জাজিরার পালে রচরের নদী পাড়ে এনে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়। এই হত্যাকান্ডে আরও অনেকেই জড়িত রয়েছে বলেও জানায় পুলিশ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এনামুল হকসহ সাংবাদিকরা।
উল্লেখ্য, গত বুধবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে জাজিরা উপজেলার পালেরচর ইউনিয়নের বাড়িপাড়া গ্রামের পদ্মা নদীর তীরবর্তী স্থানে একটি মরদেহ দেখতে পেয়ে থানায় খবর দেয় স্থানীয়রা। পরে পুলিশ গিয়ে শাহদাতের মরদেহটি উদ্ধার করে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়েরের তিন দিন পর গতকাল শনিবার আসামিদের গ্রেফতার করা হয়। এখন তার পরিবারের পক্ষে থেকে জাজিরা থানায় একটি হত্যা মামলা করা হয়েছে বলে প্রেস ব্রিফিং জানানো হয়।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার