মাদারীপুর সদর উপজেলার উত্তর চিড়াইপাড়া গ্রামে ইউসুফ তালুকদার (২৩) নামের এক বখাটের ছুরিকাঘাতে দশম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রী জখম হয়েছে। তাকে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতের এই ঘটনায় সদর থানায় মামলা হয়েছে।
স্থানীয়, পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, মাদারীপুর সদর উপজেলার উত্তর চিড়াইপাড়া গ্রামের ওয়াজেদ আলী তালুকদারের ছেলে রাজমিস্ত্রি ইউসুফ তালুকদার র্দীঘদিন ধরে একই গ্রামের কামাল খানের মেয়ে স্থানীয় শেখ শহীদ উচ্চ বিদ্যালয়ে দশম শ্রেণীর মেধাবী ছাত্রী ইয়াসমিন আক্তার নিলাকে উত্যক্ত করে আসছিলো। স্কুলে যাওয়া আসার পথে নানাভাবে বিরক্ত করতো। এছাড়াও প্রেম ও বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে বিরক্ত করতো। এই নিয়ে স্কুলেও কয়েকবার সালিশ বৈঠক হয়েছে।
ঘটনার দিন বৃহস্পতিবার রাতে ছাত্রী নিলা তার ঘরে ছিলো। এ সময় বখাটে ইউসুফ তালুকদার ঘরে ঢুকে ছুরি দিয়ে মুখে আঘাত করার চেষ্টা করে। মিলা হাত দিয়ে বাধা দেয়। এতে নিলার হাত কেটে গুরুতর জখম হয়। এ সময় তার চিৎকারে পাশের ঘর থেকে মা ও বোন এগিয়ে এসে বাধা দিলে বখাটে পালিয়ে যায়।
এই ঘটনায় রাতেই ছাত্রী নিলাকে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বর্তমানে সে চিকিৎসাধীন আছে। রাতেই মাদারীপুর সদর থানায় মামলা হয়েছে।
এ ব্যাপারে ঐ ছাত্রী বলেন, ইউসুফ আমাকে দীর্ঘদিন ধরে বিরক্ত করতো। প্রেম ও বিয়ের প্রস্তাব দিতো। আমি রাজি না হওয়ায় আমাকে ছুরি দিয়ে আঘাত করে জখম করেছে। আমি এর সঠিক বিচার চাই এবং সুন্দর ও নির্ভয়ে বিদ্যালয়ে যেতে চাই।
এ ব্যাপারে ছাত্রীর মা হাওলা বেগম বলেন, আমার মেয়েকে ঐ বখাটে ইউসুফ দীর্ঘদিন ধরে বিরক্ত করে আসছে। রাতে যখন ওর উপর হামলা হয়, তখন আমি ও আমার আরেক মেয়ে এগিয়ে এসে মিলাকে বাঁচিয়েছি। তা না হলে কি হতো, তা আল্লাহই জানেন। আমি এই অপরাধের বিচার চাই।
বাবা কামাল খান বলেন, বখাটে ইউসুফ আমার মেয়েকে বিয়ের ও প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে বিরক্ত করতো। স্কুলে যাওয়া আসার পথে উত্যক্ত করতো। এ নিয়ে স্কুলে বসেও কয়েকবার সালিশ বৈঠক হয়েছে। আমি ইউসুফের শাস্তি চাই, যাতে করে ঐ বখাটে আমার মেয়েকে বিরক্ত করতে না পারে।
মাদারীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) আবু নাইম বলেন, এই ঘটনায় রাতেই মামলা হয়েছে। দ্রুত আইনী ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
বিডি প্রতিদিন/১১ মে ২০১৮/হিমেল