মেহেরপুরের গাংনী পৌরসভায় ৬ জন কর্মচারী নিয়োগে অর্ধকোটি টাকার বানিজ্য’র অভিযোগ এনে সাময়িকভাবে নিয়োগ পরিক্ষা বন্ধ করে দেয়েছে কাউন্সিলররা। পরে বরখাস্তকৃত মেয়র আশরাফুল ইসলাম পৌরসভায় এসে কাউন্সিলরদের সাথে বৈঠক করার পর শুরু হয় নিয়োগ পরিক্ষা।
শনিবার দুপুর ১ টার সময় গাংনী পৌরসভা প্রাঙ্গনে এ ঘটনা ঘটে। ৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর বদরুল আলম জানান,কাউন্সিলরদের না জানিয়ে বিভিন্ন পদে গোপনে ৬ জন কে নিয়োগ দিচ্ছে। এ নিয়োগের বিষয়ে তাদের কিছুই জানানো হয়নী। এ নিয়োগে অন্তত অর্ধকোটি টাকা বানিজ্য করছে সাময়িক বরখাস্তকৃত মেয়র আশরাফুল ইসলাম ও ভারপ্রাপ্ত মেয়র নবীর উদ্দীন।
প্যানেল মেয়র ২ সাহিদুল ইসলাম জানান, গোপনে নিয়োগ বানিজ্য হচ্ছে একারনে পরিক্ষার্থীদের পৌরসভা থেকে বের করে দেয়া হয়।
২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মিজানুর রহমান বলেন,প্যানেল মেয়র ২ কে বাদ দিয়ে কিভাবে ৩ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কে নিয়োগ বোর্ডের সদস্য নিয়োগ করা হয়। আমরা যেহেতু জনগনের ভোটে নির্বাচিত হয়েছি তাই জনগনের কাছে আমাদের জবাবদিহি করতে হয়। অথচ জনগনের প্রতিনিধিদের বাদ দিয়ে গোপনে ৬জনকে নিয়োগ দেয়া হচ্ছে।
এদিকে ৬ জন কর্মকর্তা কর্মচারী নিয়োগে অর্ধকোটি টাকা নিয়োগ বানিজ্য সহ কে কে কোন পদে নিয়োগ পাচ্ছে তা প্রকাশ পাওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেছে পরিক্ষার্থীরা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন পরিক্ষার্থী জানান, তারা বিভিন্ন সূত্রে জানতে পেরেছেন নাজমুল হুদা, মৌমিতা খাতুন,হেলাল উদ্দীন ,রাশিদুল ইসলাম শীলন ও মাসুদ নিয়োগ প্রাপ্ত হচ্ছেন। টাকা নিয়ে যদি চাকুরী দেয় তাহলে পরিক্ষার নামে প্রতারনা করার প্রয়োজন কেন।
এ বিষয়ে প্যানেল মেয়র নবীর উদ্দীন বলেন,আমি স্বাক্ষর করার মালিক বাকী সব কিছু মেয়র আশরাফুলের ইশারায় হচ্ছে। সাময়িক বরখাস্তকৃত মেয়র আশরাফুল ইসলাম বলেন নিয়োগের বিষয়ে আমি কিছু জানিনা। বর্তমান পরিষদে যারা আছে তারা ভালো বলতে পারবেন। তবে অফিস ছুটির দিনে পৌরসভায় আসার কারন জানতে চাইলে বিষয়টি তিনি এড়িয়ে যান ।
বিডি প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ সিফাত তাফসীর