ঠাকুরগাঁওয়ে নতুন পাকা রাস্তা নির্মাণ কাজে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ও এলজিইডি কর্মকর্তার যোগসাজসে নিম্নমানের মালামাল দিয়ে রাস্তা নির্মাণের কাজ চলমান রেখেছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। আর স্থানীয়রা এ বিষয়ে প্রতিবাদ করলেও কোন ব্যবস্থা নেয়নি এলজিইডি কর্তৃপক্ষ।
সদর উপজেলা এলজিইডি’র তথ্য মতে, বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে প্রায় ১ কোটি ৪০ লাখ টাকা ব্যয়ে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার আকঁচা ইউনিয়নের ফারাবাড়ি সড়ক থেকে পুরাতন ঠাকুরগাঁও পর্যন্ত ২ কিলোমিটার পাকা রাস্তা নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। যা শুরু হয়েছে ২০১৭ সালের জুলাই মাস থেকে। আর কাজ শেষ করার কথা রয়েছে আগামী জুলাই মাসে।
রাস্তা নির্মাণ কাজের মান নিয়ে স্থানীয়দের মুখে মুখে প্রশ্ন উঠলে এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ২ কিলোমিটারের মধ্যে প্রায় ১ কিলোমিটার রাস্তায় ১.২.৩ নং ইট ভেঙ্গে মিশ্রণ করে নতুন রাস্তায় বেছানো হয়েছে। আর বাকি কাঁচা রাস্তাটুকু একইভাবে কাজ সম্পূর্ণ করতে রাস্তার পার্শ্বে ইট ভেঙ্গে ফেলে রেখেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লোকজন। রাস্তার কাজে অনিয়মের অভিযোগ তুলে স্থানীয়রা প্রতিবাদ করলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লোকজন হুমকি ধামকি দিয়ে আসছেন বলে অভিযোগ তাদের। পরে উপায় না পেয়ে ওই এলাকার অনেকে ইউপি চেয়ারম্যানের নিকট বিষয়টি অভিযোগ করেন। তারপরও নিম্নমানের সামগ্রী দিয়েই কাজ করছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এ বিষয়ে যোগাযোগ করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাউকে পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান সুব্রত কুমার বর্মন জানান, স্থানীয়রা আমার কাছে অভিযোগ করার পর আমি সদর উপজেলার ইঞ্জিনিয়ার নুরুজ্জামান সরদারকে বিষয়টি জানানোর পরও অজ্ঞাত কারণে তিনি কোন ব্যবস্থা নেন নি। আমি আশা করবো সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ব্যবস্থা নিবেন। অন্যথায় সরকারের টাকা ভাগাভাগি হবে।
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার নুরুজ্জামান সরদারের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ব্যস্ততা দেখিয়ে বলেন, কাজ পরিদর্শন করা হবে।
বিডি প্রতিদিন/২০ মে ২০১৮/হিমেল