ফরিদপুরে চাঞ্চল্যকর লিটন আলম হত্যা মামলার অন্যতম আসামি সালথা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ওয়াহিদুজ্জামানসহ ৩০জনকে জেল হাজতে প্রেরণের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বুধবার ফরিদপুরের জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. হেলালউদ্দিন এ আদেশ দেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, নিহত লিটন আলম সালথা উপজেলার ভাওয়াল ইউনিয়নের ইউসুফদিয়া গ্রামের মৃত আব্দুল আলি মাতুব্বরের ছেলে। তিনি একজন পল্লী চিকিৎসক ও ভাওয়াল ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০০৮ সালের ২১ মার্চ লিটনকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। পরদিন লিটনের ভাই শাহ আলম বাদী হয়ে সালথা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। গত ২০০৮ সালের ২৮ সেপ্টম্বর এ হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সালথা থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উত্তম কুমার সাহা ওয়াহিদুজ্জামানসহ ৩৩জনের নামে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।
৩৩ জন আসামির একজন ইতোমধ্যে মারা গেছেন এবং বাকী দুইজন আদালত থেকে জামিন নিয়ে পলাতক রয়েছেন।
মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী সানোয়ার হোসেন জানান, বুধবার এ হত্যা মামলার রায় ঘোষণা হওয়ার কথা ছিল। ওয়াহিদুজ্জামানসহ ৩০জন আসামি আদালতে হাজির ছিলেন।
তবে আদালত বুধবার রায় ঘোষণা না করে রায় ঘোষণার পরবর্তী তারিখ আগামী ১৬ জুলাই নির্ধারণ করেন। একই সাথে আদালত ওয়াহিদুজ্জামানসহ উপস্থিত এ মামলার ৩০জন আসামির জামিন বাতিল করে দিয়ে তাদের জেল হাজতে প্রেরণের নিদের্শ দেন।
বিডি-প্রতিদিন/ ই-জাহান