নদীপথে সন্ত্রাসীদের চাঁদাবাজি ও শ্রমিকদের উপর নির্যাতন বন্ধ না হলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছে নৌযান শ্রমিকরা। নৌশ্রমিকদের উপর হামলাকারী সন্ত্রাসীদের আগামী ৫ দিনের মধ্যে গ্রেফতার করা না হলে নদীপথে পণ্য পরিবহন বন্ধ করার আলটিমটাম দেয়া হয়।
আজ নারায়ণগঞ্জ প্রেসকাবের সামনে নদীপথে সন্ত্রাসী চাঁদাবাজি বন্ধসহ রূপগঞ্জে বালু নদীতে সন্ত্রাসীদের হামলায় ৪ জন আহতের প্রতিবাদে ও সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারেরর দাবিতে বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের উদ্যোগে আয়োজিত মানববন্ধনে এই হুঁশিয়ারি ও আলটিমেটাম দেন সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক সবুজ শিকদার মাষ্টার।
এসময় তিনি বলেন, বাংলাদেশে যতগুলো শ্রমিক সেক্টর রয়েছে তার মধ্যে নৌ শ্রমিকরা মানবেতর জীবনযাপন করে থাকে। তারা পরিবার পরিজন ফেলে রেখে মাসের পর মাস বাড়ির বাইরে থাকে। ঈদ উৎসবেও পরিবারকে সময় দিতে পারে না। সাধারণ মানুষকে গন্তব্যে পৌছানো এবং খাদ্যদ্রব্যসহ আনুষাঙ্গিক পণ্য পৌছানোর কাজ করে থাকে। অথচ তারা ন্যায্য মজুরী পাচ্ছে না। একজন মালিক একটি জাহাজ থেকে অসংখ্য জাহাজের মালিক বনে গেলেও শ্রমিকের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়না। অনেক মালিক তার জাহাজের কাগজপত্র ঠিক করেন না। আর ওইসকল জাহাজ নিয়ে নৌপথে চলাচল করতে গিয়ে শ্রমিকদের দুর্ভোগ হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে।
বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন জেলা শাখার সভাপতি সরদার আলমগীর মাষ্টারের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন বিআইডব্লিউটিসি ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন চুন্নু মাষ্টার, লাইটারেজ জাহাজ শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান মাষ্টার, বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের নেতা কবির হোসেন, দশআনি মোহনপুর শাখার সাধারণ সম্পাদক আক্তার হোসেন, হামলায় আহত তৈয়ব হোসেন, ডেমরা শাখার সভাপতি জাকির হোসেন, কাওতাইল শাখার সাধারণ সম্পাদক নিজামউদ্দিন, সারুলিয়া শাখার উপদেষ্টা মোঃ মুরাদ হোসেন, সহ সম্পাদক আজাদুর রহমান, খাদ্যপন্য শ্রমজীবী সমবায় সমিতির সভাপতি ইদ্রিস খান, ইকবাল হোসেন প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, আজকে নদীপথে চাঁদাবাজি অব্যাহত থাকলেও নৌ পুলিশ কোন কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছেনা। ফকিরখালী, গাবতলী আমিনবাজার, সারুলিয়া, মেঘনায় বৈদ্যেরবাজার, কালিপুরা, শীতলক্ষ্যার বসুন্ধরা সিমেন্ট ফ্যাক্টরির সামনেসহ বিভিন্ন স্থানে নৌ পুলিশের সামনেই নদীপথে চাঁদাবাজি অব্যাহত রয়েছে বলে বক্তারা অভিযোগ করেন।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার