সুন্দরবনে অপহরণ করা জেলেদের মুক্তিপণ আদায়ে ব্যবহৃত বিকাশ এজেন্টসহ ২ জনকে আটক করেছে র্যাব-৮। মুক্তিপণের টাকা লেনদেনের সময় গত ১২ আগস্ট র্যাবের একটি বিশেষ দল বাগেরহাটের রামপাল থানার ফয়লারহাট বাজারের বিকাশ এজেন্ট ‘মোল্লা টেলিকমে’ অভিযান চালিয়ে ওই প্রতিষ্ঠানের মালিক মো. জিল্লুর রহমান এবং জলদস্যুদের কাছে টাকা পৌঁছে দিতে সহায়তাকারী মারুফ বিল্লাহ ওরফে সাগর শেখকে আটক করে।
এ সময় তাদের কাছ থেকে বিকাশ, রকেট ও শিওর ক্যাশ এর মাধ্যমে লেনদেনের কাজে ব্যবহৃত মুঠোফোনসহ ২৯টি সিম এবং ক্যাশ ইন ও আউট রেজিস্ট্রার জব্দ করে র্যাব। আটক বিকাশ এজেন্ট জিল্লুর রামপাল থানার সন্তোষপুর গ্রামের রশিদ মোল্লার এবং মারুফ বিল্লাহ একই থানার মালিডাঙ্গা গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে।
আজ সোমবার সকাল ১১টায় বরিশাল র্যাব-৮ সদর দপ্তরে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানায় র্যাব-৮’র আইন কর্মকর্তা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুরত আলম।
আটককৃতদের রামপাল থানায় সোপর্দ করে মামলা দায়েরসহ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন তিনি।
র্যাব জানায়, গত ৯ আগস্ট রাতে সুন্দরবনের পশুর নদীতে মাছ শিকাররত মহিপুরের ১৩ জন জেলেকে একটি ট্রলারসহ অপহরণ করে মোংলার দিকে নিয়ে যায় জলদস্যু ‘ছোট মিয়া বাহিনী’। পরবর্তীতে জলদস্যুরা অপহৃত জেলেদের স্বজনদের সাথে যোগাযোগ করে। জলদস্যুরা অপহৃত জেলেদের মুক্তিপণ বাবদ তাদের স্বজনদের কাছে মোটা অংকের টাকা দাবী করে এবং ফয়লারহাট বাজারের বিকাশ এজেন্ট ‘মোল্লা টেলিকমে’র মাধ্যমে টাকা পাঠাতে বলে।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এ খবর পেয়ে র্যাব জলদস্যুদের টাকা লেনেদেনের বিকাশ এজেন্ট এবং মুক্তিপণের অর্থ জলদস্যুদের কাছে পৌঁছে দিতে সহায়তাকারীকে আটক করে। জেলেদের অপহরণকারী জলদস্যুদের আটকের লক্ষ্যে র্যাব কাজ করে যাচ্ছে বলে জানানো হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার