ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলায় গণধর্ষনের শিকার সেই স্কুল ছাত্রীর (১৪) অবশেষে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে। সে মরিয়ম নেছা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের ছাত্রী ৭ম শ্রেনির ছাত্রী ছিল। এ ঘটনায় টুনটুনির বাবা মন্নু শেখ এ ঘটনায় বাদী হয়ে ৩ জনকে আসামি করে শৈলকুপা থানায় একটি গণ ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। মামলার আসামিরা হলেন চর বাখরবা গ্রামের সামছুদ্দিন শেখের ছেলে নাঈম শেখ, রওশন জোয়ার্দারের ছেলে নিশান জোয়ার্দার ও রশিদ জোয়ার্দারের ছেলে মাসুম জোয়ার্দার। মামলা নং-০৩, তাং ০২/১১/১৮।
জানা যায়, কাঁচেরকোল গ্রামের মন্নু শেখের মেয়ে গত ৫ সেপ্টেম্বর চর বাখরবা গ্রাামে নানা কেতা শেখের বাড়ীতে বেড়াতে যায়। ওই রাতে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিয়ে টুনটুনি বাড়ীর পেছনের বাগানে গেলে আগে থেকে ওৎ পেতে থাকা ৩ যুবক তাকে জোরপূর্বক মুখ চেপে ধরে ধর্ষণ করে। ঘটনা কাউকে না জানিয়ে লজ্জা ঘৃনায় টুনটুনি আত্মহত্যার উদ্দেশ্যে বাথরুমে থাকা হারপিক খেয়ে গুরুত্বর অসুস্থ্য হয়ে পড়ে। পরে পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে মূমুর্ষ অবস্থায় প্রথমে কুষ্টিয়া হাসপাতালে ভর্তি করে। অবস্থার অবনতি হলে তাকে ফরিদপুর মেডিকেল ও পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রেফার্ড করা হয়। টুনটুনি কিছুটা সুস্থ হলে ধর্ষনের বিষয়টি পরিবারের লোকজনকে খুলে বলে।
এদিকে, শুক্রবার রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভিকটিম টুনটুনি খাতুন মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়ে। তার মৃতদেহ শনিবার শৈলকুপার কাঁচেরকোল গ্রামে পৌছলে পুলিশ ময়না তদন্তেরজন্য ঝিনাইদহ মর্গে পাঠায়।
শৈলকুপা থানার এসআই অমিত কুমার ঘোষ জানান, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে ভিকটিমের ডাক্তারি পরিক্ষা করানো হয়েছিলো। রিপোর্ট এখনো হাতে আসেনি। আসামিরা সবাই পলাতক রয়েছে। এরই মাঝে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার রাতে সে মারা যান।
শৈলকুপা থানার ওসি কাজী আয়ুবুর রহমান জানান, ভিকটিমের মৃতদেহ গ্রামের বাড়ীতে পৌছলে ময়না তদন্তে সম্পন্ন করা হয়েছে। জড়িতদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
বিডি প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ সিফাত