বরিশালের গৌরনদী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে হয়েছে। আধিপত্য বিস্তার ও দলীয় অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জের ধরে সোমবার দুপুরে সংঘর্ষের খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে লাঠিচার্জ করে উভয় গ্রুপকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। সংঘর্ষ এবং লাঠিচার্জে উভয় গ্রুপের ১০ জন নেতাকর্মী আহত হয়।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, আধিপত্য বিস্তারের জের ধরে সরকারি গৌরনদী কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক ভিপি ছাত্রলীগ নেতা সুমন মাহামুদ ও উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারন সম্পাদক ইমরান মিয়ার গ্রুপের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। এই বিরোধকে কেন্দ্র করে সোমবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ছাত্রলীগের নেতা ইমরানের এক কর্মীকে মারধর করে সুমন মাহামুদের কর্মী-সমর্থকরা।
দুপুরে গৌরনদী বাসস্ট্যান্ড দলীয় কার্যালয়ে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা শফিকুল ইসলাম বুলেটের ১৭তম মৃত্যু বার্ষিকীর আলোচনা সভা শেষে উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ চলে যাওয়ার পর ইমরান মিয়া গ্রুপের কর্মীসমর্থকরা লাঠিসোটা নিয়ে গৌরনদী বাসস্ট্যান্ডে সুমন গ্রুপের ওপর হামলা চালায়। এ সময় উভয় গ্রুপ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় দুই গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। খবর পেয়ে পুলিশ লাঠিজার্চ করে দুই গ্রুপকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
সংঘর্ষ ও পুলিশেল লাঠিচার্জে আহত হয় ছাত্রলীগ নেতা রাসেল ফকির, সৈয়দ দিদার, সুজন সরদার, চয়ন সরদার, ইমন, ইয়ামিন মিয়া, রায়হান, রাব্বি মিয়া, মিলনসহ ছাত্রলীগের ১০ নেতাকর্মী।
গৌরনদী মডেল থানার ওসি গোলাম সরোয়ার জানান, ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। বাসস্ট্যান্ডে পুলিশের টহল বাড়ানো হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেন ওসি।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার