বগুড়ার একমাত্র বক্ষব্যাধি হাসপাতলে চিকিৎসক না থাকায় স্বাস্থ্য সেবা পাচ্ছে না রোগীরা। চিকিৎসকের পাশাপাশি ডাক্তার, নার্স ও বাবুর্চিসহ ২১ পদের মধ্যে ৫ পদে কোন জনবল নেই।
জনবল সংকট নিয়ে খুড়িয়ে খুড়িয়ে চলছে বক্ষ্যাধি হাসপাতাল। মাসের পর মাস এমন কর্মহীন কাটলেও সরকারি সকল সুযোগ সুবিধা পাচ্ছেন কর্মকর্তারা।
বগুড়া জেলা সিভিল সার্জন সামছুল হক জানান, বক্ষব্যাধি হাসপাতলে ২ জন চিকিৎসকের মধ্যে একজন ডা. এসানুল কবীর ২০১৮ সালের ৭ নভেম্বর নওগাঁ মেডিকেল কলেজে বদলি হয়ে গেছেন। অপর জন ডাক্তার ডা. তানজিলা সুলতানা ডেপুটিসনে ২০১৭ সালে কুয়েত- বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতালে চলে যান।
তবে গত ২০১৮ সালের ৮ জুলাই তার ডেপুটেশন বাতিল হওযার পর রংপুর বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) হিসেবে ন্যাস্ত করা হয়েছে। ফলে দু'টি চিকিৎসক পদ ফাঁকা রয়েছে।
চিকিৎসকের ২টি পদ ফাঁকা ছাড়াও এ্যাসিসটেন্ট নার্সের ৩টি পদের মধ্যে ১টি, তিন জন ওয়ার্ড বয়ের মধ্যে ২টি পদে কোন লোক নেই। বাবুর্চি পদে কোন লোক না থাকায় তার পরিবর্তে অদক্ষ মশালচি রোগীদের রান্নার কাজ করে। হাসপাতালের ডাক্তার চিকিৎসা প্রদান করে। আর সহকারিরা সহযোগিতা করেন। এখন তো বক্ষব্যাধি হাসপাতালে কোন চিকিৎসক নেই। বিষয়টি কেন্দ্রীয় ভাবে অবহিত করা হয়েছে।
বক্ষব্যাধি হাসপাতালের ফার্মসিষ্টি মোয়াজ্জেম হোসেন জানান, ডাক্তার না থাকায় রোগীদের সংখ্যা কমে গেছে। গত বুধবার ২০ শষ্যা হাসপাতলে ৯ জন রোগী ভর্তি ছিল। তাছাড়া স্বল্প শিক্ষিত লোকজনের মধ্যে সচেতনতার অভাব। তাদেরও সঠিক উপায়ে চিকিৎসা নিতে হবে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার