চালুর পর ৫বছরেও হয়নি রাঙামাটি মেডিকেল কলেজের স্থায়ী ক্যাম্পাস। নেই শিক্ষার্থীদের থাকার মত আবাসিক কোন হোস্টেল। রয়েছে আরও নানামুখি সমস্যা। এভাবে চলছে রাঙামাটি মেডিকেল কলেজ। অনিশ্চয়তা ও বিভিন্ন সমস্যার কারণে মুখথুবড়ে পড়ছে শিক্ষা কার্যক্রমও। বিকল্প কোন ব্যবস্থা নাথাকায় একই ছাদের নিচে চলছে ক্লাস, পরীক্ষা ও অফিসের কার্যক্রম।
তবে অধ্যক্ষ বলছেন, স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণ হলে বেশিরভাগ সমস্যা সমাধাণ করা সম্ভব।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪ সালে অস্থায়ী ভবনে যাত্রা শুরু হয় রাঙামাটি মেডিকেল কলেজের। সে থেকে এখন পর্যন্ত একই অবস্থায় রয়েছে মেডিকেল কলেজটি। দীর্ঘ পাঁচ বছরেও নির্মাণ হয়নি মেডিকেল কলেজের স্থায়ী কোন ভবন। ফলে রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে হৃদরোগ করোনারি বিভাগে চলছে মেডিকেল কলেজের যাবতীয় কার্যক্রম। শ্রেণি কক্ষ সংকটের কারণে ছেলে-মেয়ে বসছে একই শ্রেণি কক্ষে গাদাগাদি করে। নেই ভালো মানের কোন ল্যাইব্রেরি ব্যবস্থাও। অন্যদিকে স্থায়ী ক্যাম্পাসের পাশাপাশি আবাসিক হোস্টেলের সমস্যায় উদ্বিগ্ন শিক্ষার্থীরা।
রাঙামাটি মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা জানিয়েছে, নামেই হোস্টেল। নেই কোন আবাসিক সুযোগ-সুবিধা। জরাজীর্ণ ভাঙ্গা দালানে ঠাঁই মিলেছে মাত্র কিছু সংখ্যক শিক্ষার্থীর। বাকিদের কপালে তাও জোটেনি। সেখানেও রয়েছে নানা সমস্যা। নেই পড়ার মত পরিবেশ। মিলছে না খাবার পানিও।
এদিকে একই সমস্যার কথা স্বীকার করেছেন রাঙামাটি মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. টিপু সুলতান। তিনি বলেন, অস্থায়ী রাঙামাটি মেডিকেল কলেজে ভবনটিতে বর্তমানে পাঁচটি ব্যাচের শিক্ষার্থীরা অধ্যয়নরত আছে। কিন্তু রাঙামাটি মেডিকেল কলেজের স্থায়ী ক্যাম্পাস না থাকার কারণে সংকটের চাহিদার অনেক বেশি। বিশেষ করে শ্রেণি কক্ষ সংকটের কারণে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সমস্যা বেশি হচ্ছে। একই সাথে শিক্ষার্থীদের রাখার জায়গারও খুবই সমস্যা। নিজস্ব ক্যাম্পাসের কাজ শুরু করতে না পারার কারণে এ সমস্যা জঠিল হয়ে উঠছে। রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতাল, শিক্ষার্থীদের শ্রেণি কক্ষ ও থাকার ব্যবস্থাটা উন্নত করা গেলে এ সমস্যা নিরসন করা সম্ভব।
এ ব্যপারে রাঙামাটি জেলা প্রশাসক এ কে এম মামুনুর রশিদ বলেছেন, রাঙামাটি মেডিকেল কলেজের জন্য যে জমি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। তা অধিগ্রহণের সমস্যা প্রায় সমাধাণ হয়ে গেছে। শিগগিরিই জমি মেডিকেল কলেজের কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হবে। জমি হয়ে গেলে ভবনের কাজও দ্রুত নির্মাণ করা সম্ভব হবে।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন