পাট ও পাট শ্রমিকদের স্বার্থেই জুট মিলগুলোকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে জানিয়ে পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বলেছেন, যখন কোন সময় প্রাইভেট পাট কল ছিল না, তখন বিজিএমসি এই পাটকল গুলোকে বাঁচিয়ে রেখেছে। এখন পাটকল গুলোকে বন্ধ করে দেয়া হয়। তাহলে একচেটিয়াভাবে সিন্ডিকেট হয়ে যাবে। তখন পাটের দাম কমিয়ে দেয়ার ঝুঁকি থাকে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে নরসিংদী ইউএমসি জুট মিল পরিদর্শনকালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
সরকারি মিল না থাকলে পাট ও পাট শ্রমিকদের বাঁচিয়ে রাখার সম্ভব হবে না উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, সরকারী পাটকলগুলো লোকসানের কারণ খুঁজে বের করতে হবে। তারপর সেসব ফাঁকফোকর বন্ধ করে পাটকল গুলোকে লাভজনক প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন পাট ও বস্ত্র মন্ত্রালয়ের সচিব মোঃ মিজানুর রহমান, বিজিএমসির চেয়ারম্যান শাহ মোহাম্মদ নাসিম, সংরক্ষিত মহিলা এমপি তামান্না নুসরাত বুবুলি, পাট ও বস্ত্র মন্ত্রনালয়ের অতিরিক্ত সচিব আবু বক্কর সিদ্দিক, জেলা প্রশাসন ও ইউএমসি জুট মিলের উর্ধতন কর্মকতারা উপস্থিত ছিলেন।
পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী বলেন, মঞ্জুরী কমিশনকে সরকারী পাটকল লোকসানের অন্যতম কারণগুলোর মধ্যে একটি বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, প্রাইভেট মিলগুলোতে শ্রমিকদের যে মজুরি দেয়া হয় তার তুলনায় সরকারি মিলগুলোতে দুইগুণ বেশি মজুরি দেয়া হয়। তাছাড়া প্রাইভেট সেক্টরে আধুনিক যন্ত্রাংশের ব্যাবহার বেড়েছে। আগে যেখানে ৪ জন শ্রমিক একটি মেশিন চালাতে হতো। আধুনিকায়নের ফলে এখন একজন শ্রমিকই একটি মেশিন চালাতো পারে। সেই হিসেবে লোকসান বাড়ছে সবলে ধারনা করা হচ্ছে। রমাজানের আগেই শ্রমকিদের বকেয়া মজুরি প্রদান করা হবে বলে জানান মন্ত্রী।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার