গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার করপাড়া হাইস্কুলের এক ছাত্রীর শ্লীলতাহানীর অভিযোগে ওই স্কুলের সহকারী শিক্ষক মিরাজ হোসেনকে আটক করেছে পুলিশ।
বুধবার দুপুরে গোপালগঞ্জ সদর থানার বৌলতলী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রর পুলিশ স্কুল থেকে ওই শিক্ষককে আটক করে। এ সময় এ ঘটনায় সহায়তাকারী অপর শিক্ষক পরিমল বিশ্বাস পালিয়ে যায়।
জানাগেছে, গত ২৪ এপ্রিল শ্রেণি কক্ষে ওই স্কুলের সহকারী শিক্ষক পরিমল বিশ্বাসের জন্মদিন পালন করা হয়। পরিমল বিশ্বাস তার জন্মদিনের কেক কেটে চলে যাবার পর সহকারি শিক্ষক মিরাজ হোসেন ছাত্রীদের জোর করে কেক খাইয়ে দেয়া ও ছাত্রীদের সাথে সেলফি তোলার এক পর্যায়ে এক ছাত্রীর শ্লীলতাহানি ঘটায়।
ওই ছাত্রীর অবিভাবকরা বিষয়টি স্কুল কর্তৃপক্ষকে মৌখিকভাবে জানালে কোন বিচার না পেয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর গত ২৮ এপ্রিল লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন।
এদিকে, লিখিত অভিযোগ পেয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নিয়ে এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে ৩০ এপ্রিল এক জরুরী সভা করে বিষয়টি তদন্তের জন্য তিন সদস্যের কমিটি গঠন করে ১ মে’র মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের সিদ্ধান্ত হয়।
এ ব্যাপারে করপাড়া হাইস্কুলের পরিচালনা পরিষদের সভাপতি মোঃ কামরুল ইসলাম জানান, ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ পেয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। ম্যানেজিং কমিটিতে তদন্ত কমিটির সুপারিশ ও অন্যান্য দিক বিবেচনা করে অভিযুক্ত শিক্ষক মিরাজ হোসেনকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।
গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মনিরুল ইসলাম জানান, সদর উপজেলার করপাড়া হাইস্কুলের এক ছাত্রীর শ্লীলতাহনীর অভিযোগে ওই স্কুলের সহকারী শিক্ষক মিরাজ হোসেনকে আটক করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে পরবর্তি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন