ভোলার চরফ্যাশনে ইলিশ শিকারে নেমেছে জেলেরা। অভয়াশ্রমে ইলিশ শিকারে দুই মাস সরকারী নিষেধাজ্ঞা শেষ হলে বুধবার ইলিশ ধরতে ভোলার মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীতে জেলেরা নেমে পড়েছে। এর মধ্যে নদীতে মাছ শিকার জন্য জাল, নৌকা, ট্রলারসহ মাছ ধরার সকল সরঞ্জম নিয়ে নদী ও সাগরে জাল ফেলে আশানুরুপ ইলিশ পেয়ে জেলে পল্লীতে আনন্দের উৎসব বিরাজ করছে।
সরেজমিন সামরাজ, বকশী, খেজুরগাছিয়া মৎস্য ঘাটের জেলেদের সাথে আলাপ করে জানা গেছে, র্দীঘ দুই মাস নদীতে মাছ ধরার উপর সরকারি নিষেধাজ্ঞার কারণে জেলেরা মাছ শিকারের সকল সরঞ্জাম গুটিয়ে নিয়ে যায়। মঙ্গলবার রাত ১২ টা থেকে ইলিশ শিকার শুরু করেছেন। দুই মাস পর জালে প্রচুর পরিমানে ইলিশ ধরা পরায় মৎস্য ঘাট গুলোতে উৎসব মুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে।
মৎস্য অফিসের তথ্য অনুযায়ী ভোলা জেলায় মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীর মাছ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করে প্রায় সাড়ে ৩ লাখ জেলে। তবে সরকারি নিবন্ধিত জেলের সংখ্যা ১ লাখ ৩২ হাজার ২৬০ জন। নিবন্ধন থাকলেও সবার ভাগ্যে জুটেনা সরকারিভাবে বরাদ্দকৃত চাল। সরকারিভাবে বরাদ্দকৃত চাল পাচ্ছে মাত্র ৫১ হজার ১ শ’ ৫০ জন।
চরফ্যাশন উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা বলেন, আইন অমান্য করেছে তাদের আটক করে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে জেল-জরিমানা করা হয়েছে। ভোলা নিবন্ধিত জেলেদের মধ্যে অনেক জেলে চাল পাইনি। তবে আমরা আগামীতে যাতে সাবই চাল পায় এজন্য কর্তৃপক্ষের কাছে জানাবো।
উল্লেখ্য, ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল ভোলার মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীর ১৯০ কিলোমিটার ইলিশের অভ্যয় আশ্রম হওয়ায় সব ধরনের মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা জারি করে সরকার।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার