কক্সবাজারের টেকনাফ স্থলবন্দরে ২০১৮-১৯ অর্থ বছরের এপ্রিল মাসে ২১৭ টি বিল অব এন্ট্রির মাধ্যমে ১০ কোটি ৩১ লাখ ৩৯ হাজার টাকা রাজস্ব আদায় হয়েছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এই মাসে ১২ কোটি ৩ লাখ টাকা লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে।
এই লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১ কোটি ৭১ লাখ ৬১ হাজার টাকা রাজস্ব কম আদায় হয়েছে। এ মাসে মিয়ানমার থেকে ২৮ কোটি ৮৭ লাখ ৯৫ হাজার টাকার পণ্য আমদানি হয়। এতে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি। এই মাসে পণ্য আমদানি কম হওয়ায় রাজস্ব আয় কমেছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্টরা।
অপরদিকে ৪৫টি বিল অব এক্সপোর্টের মাধ্যমে ১ কোটি ৭৮ লাখ ৩০ হাজার টাকার পণ্য মিয়ানমারে রপ্তানি করা হয়েছে।
এছাড়া শাহপরীরদ্বীপ করিডোরে মিয়ানমার থেকে ৩ হাজার ৩৫৬টি গরু, ১ হাজার ৬৩৬টি মহিষ আমদানি করে ২৭ লাখ ৯৬ হাজার টাকা রাজস্ব আদায় হয়।
টেকনাফ স্থলবন্দরের শুল্ক কর্মকর্তা মো. ময়েজ উদ্দীন জানান, গত এপ্রিল মাসে সীমান্ত বাণিজ্যে মন্দাভাব বিরাজ করছে। গত তিন মাস ধরে কাঠ আমদানি বন্ধ রয়েছে। মিয়ানমার থেকে বিপুল পরিমাণ কাঠ আমদানি হলেও গত জানুয়ারি মাসের পর থেকে আর কোনো কাঠ বন্দরে আসেনি। এছাড়া গবাদি পশু আমদানিও আগের মত হচ্ছে না।
এদিকে বন্দর ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, সীমান্ত বাণিজ্য ব্যবসায় সুষ্ঠু পরিবেশ নেই। মিয়ানমারেও অভ্যন্তরীণ সমস্যা রয়েছে। ফলে ব্যবসা বাণিজ্যে আগের মত পরিবেশ পাচ্ছেন না ব্যবসায়ীরা।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার