দিনাজপুরে এ বছরও টমেটোর বাম্পার ফলন হয়েছে। টমেটোর ফলনে কৃষকরা খুশি। তবে ক্ষেত থেকে টমেটো তুলে বাজারজাত করে ঢাকায় পাঠাতে চাষিদের চেয়ে বেশি লাভবান হচ্ছেন মধ্যস্বত্বভোগীরা। তাই অন্যান্য ফসলের মত টমেটোরও ক্রয়মূল্য নির্ধারণ করার দাবি জানিয়েছেন টমেটো চাষিরা।
শীতকালের সবজি হিসেবে পরিচিত টমেটো এখন বছরের ৮ মাসই বাজারে পাওয়া যায়। উত্তরাঞ্চলের বৃহৎ গ্রীষ্মকালীন টমেটোর উৎপাদন দিনাজপুরে। জেলার সদর, ফুলবাড়ী, চিরিরবন্দর, বিরল, কাহারোল, বোচাগঞ্জসহ বিভিন্ন উপজেলায় ব্যাপক গ্রীষ্মকালীন নাভি জাতের টমেটোর চাষ হয়। জানুয়ারীর শেষে এই টমেটো আবাদের পর ক্ষেত থেকে তা তোলা হয় মার্চ মাসের শেষের দিকে।
প্রতি মৌসুমে দিনাজপুর জেলার কাউগাঁ, গাবুড়া ও পাঁচবাড়ী বাজার থেকে কয়েক কোটি টাকার টমেটো বেচাকেনা হয়। এসব টমেটো যায় ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায়।
তবে সরকারিভাবে টমেটো সংরক্ষণ এবং বিপনণের সুষ্ঠু ব্যবস্থা থাকলে সারা বছর এলাকার টমেটো সারা দেশে ক্রেতাদের সরবরাহ করা যেত। এ সময়ে অনেক টমেটো প্রক্রিয়াজতকরণের কোন ব্যবস্থা না থাকায় অনেক টমেটো নষ্ট হয়ে যায়।
শহর সংলগ্ন গাবুড়া নদীর তীরে শেখপুরার রাজারামপুরে উত্তরাঞ্চলের সবচেয়ে বড় টমেটোর বাজার। জানা যায়, বড় টমেটোর হাট গাবুড়াহাট থেকে চলতি মৌসুমে এপ্রিল মাসে প্রায় দেড় হাজার ট্রাক টমেটো ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে পাঠানো হয়েছে। প্রতি ট্রাকে ৫০০ থেকে ৫৫০ ক্যারেট টমেটো লোড করা হয়। প্রতি ক্যারেটে ২৫ থেকে ২৭ কেজি টমেটো ভরা হয়। গড়ে প্রতিদিন এখান থেকে ৪ থেকে ৬শ’ মেট্রিক টন টমেটো অর্ধ শতাধিক ট্রাকে বিভিন্ন স্থানে পাঠানো হয়।
ঢাকার টমেটো ব্যবসায়ী জামাল জানান, গাবুড়া বাজার থেকে প্রতি ট্রাকে ১০ থেকে ১৫ টন টমেটো নিয়ে যায়।
দিনাজপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক তৌহিদুল ইকবাল জানান, টমেটো সংরক্ষণে রাখতে হিমাগার স্থাপনের পরিকল্পনার উদ্যোগ নেওয়া হবে। চলতি বছর জেলায় ১২ হাজার হেক্টর জমিতে টমেটো চাষ হয়েছে। এবছর জেলায় টমেটোর বাম্পার ফলন হয়েছে। কৃষকরা দামও ভাল পাচ্ছেন।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল