ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলা প্রাথমিক সহকারি শিক্ষা কর্মকর্তা মো. সাইফুর রহমানকে শারীরিকভাবে হেনস্থার দায়ে প্রাথমিক স্কুলের দুই প্রধান শিক্ষককে মাত্র দুই শত টাকা অর্থদণ্ড করেছেন ইউএনও।
মঙ্গলবার বিকেল ৩ টার দিকে প্রশিক্ষণে শিক্ষকের নাম না রাখার জেরে উপজেলা শিক্ষা অফিসে এ ঘটনা ঘটে। এসময় খবর পেয়ে দুই প্রধান শিক্ষককে ইউএনও ডেকে নিয়ে ইউএনও অফিসে বসিয়ে রাখেন। বিকেলে ইউএনও অভিযুক্ত দুই প্রধান শিক্ষককে ২শ' টাকা জরিমানা করে ছেড়ে দেন।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. আলমগীর হোসেন জানান, প্রান্তিক যোগ্যতা নির্ধারণের জন্য উপজেলার সকল প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্য থেকে প্রতিটি বিষয় থেকে ৪ জন করে মোট ৪৮ জনের নামের তালিকা তৈরি করার জন্য উপজেলা সহকারি প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সাইফুর রহমান ও ইউআরসি কর্মকর্তা গৌতম কুমার বিশ্বাসকে দায়িত্ব দেয়া হয়। তারা প্রাথমিকভাবে তালিকা তৈরি করলে সেই তালিকায় লুৎফর রহমান ও নজরুল ইসলাম চানের স্কুলের শিক্ষকের নাম না থাকায় এ নিয়ে বিকেল ৩ টার দিকে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে সহকারি শিক্ষা কর্মকর্তাকে হেনস্থা করেন তারা। বিষয়টি তাৎক্ষনিক উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ইউএনওকে অবহিত করলে তিনি ঘটনাস্থল থেকে পশ্চিম রাজাপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম চান ও কানুদাশকাঠি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক লুৎফুর রহমানকে নিয়ে যান।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের সহকারি শিক্ষা কর্মকর্তা মো. সাইফুর রহমান জানান, তেমন কিছু হয়নি, বিষয়টি ইউএনও মহোদয়কে জানানো হয়েছে।
রাজাপুর থানার ওসি মো. জাহিদ হোসেন জানান, এ ঘটনা শুনিনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উপজেলা রিসোর্স সেন্টারের (ইউআরসি) ইন্সপেক্টর গৌতম কুমার বিশ্বাস জানান, উপজেলার ১২৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে মাত্র ৪৮ জন শিক্ষকের তালিকা চাওয়া হয়েছে। তার মধ্যে পশ্চিম রাজাপুর ও কানুদাশকাঠি স্কুলের শিক্ষাগত যোগ্যতা, অভিজ্ঞ ও দক্ষতা সম্পন্ন শিক্ষক না থাকায় এ প্রশিক্ষণে তাদের নাম রাখা হয়নি।
ইউএনও মো. সোহাগ হাওলাদার জানান, সরকারি কাজে প্রভাব বিস্তারের দায়ে ওই দুই প্রধান শিক্ষককে দুই শত টাকা জরিমানা ও মুচলেকা রেখে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
তবে এ ব্যাপারে অভিযুক্ত দুই প্রধান শিক্ষকের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল