নাটোরের বাগাতিপাড়ার গালিমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল আওয়ালকে নিয়ম বর্হির্ভূতভাবে বদলির মৌখিক নির্দেশ দেওয়ার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে অভিভাবক, শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী।
শনিবার সকালে বিদ্যালয়ের সামনে ঘন্টাব্যাপী এই মানববন্ধন কর্মসুচি পালন করা হয়। মানববন্ধনকালে বক্তব্য রাখেন বিদ্যালয়ের সভাপতি মহিদুল ইসলাম, অভিভাবক মশিউর রহমান মানিক, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি শাহাদত হোসেনসহ অন্যান্যরা।
এসময় বক্তারা বলেন, বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থাকাসহ নানা অনিয়মের প্রতিবাদ ও শোকজ করায় বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা হাসিনা বেগম প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে কুপ্রস্তাবের অভিযোগ করেন। পরবর্তীতে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার তদন্তে তা মিথ্যা প্রমাণিত হলে ওই শিক্ষিকাকে বদলির সুপারিশ করেন তদন্ত কমিটি। এরপর একই অভিযোগ এনে জেলা প্রশাসনের কাছে আবেদন করেন হাসিনা বেগম। তারও কোন সত্যতা মেলেনি। এরপর থেকে বিভিন্ন দপ্তরে তদবির করে প্রধান শিক্ষককে বদলির অপচেষ্টা চালান ওই শিক্ষিকা।
সম্প্রতি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এরশাদ আলী প্রধান শিক্ষক আব্দুল আওয়ালকে অন্যত্র বদলির জন্য মৌখিকভাবে আবেদন করতে বলেন। বিষয়টি জানার পর এলাকাবাসী ক্ষুব্ধ হয়ে প্রধান শিক্ষকের বদলি আদেশের প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসুচি পালন করে। অবিলম্বে নিয়মবর্হির্ভূভাবে বদলির মৌখিক নির্দেশ বাতিলের দাবি জানান তারা।
এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা হাসিনা বেগমের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, তার অভিযোগের সঠিক তদন্ত করা হয়নি। তার বক্তব্যও তদন্ত কমিটি বিশ্বাস করেনি। তাই তিনি তিনি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ দিয়েছেন। কতৃপক্ষ যা নির্দেশ দেবেন তিনি তা মেনে নেবেন।
বিষয়টি সম্পর্কে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল আওয়াল জানান, ওই শিক্ষিকা নিয়মিত বিদ্যালয়ে আসেন না এবং ক্লাস করেন না। এছাড়া তার বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। এসব বিষয় নিয়ে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভায় তাকে সতর্ক করার পরেও তিনি সে বিষয়ে কর্নপাত করেননি। তাই বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাকে শোকজ করা হয়েছিল। সে কারণে তিনি ক্ষুব্ধ হয়ে শোকজের উত্তর না দিয়ে উর্দ্ধতন শিক্ষা কর্মকর্তা ও পরে জেলা প্রশাসক বরাবর অভিযোগ করেন।
এ বিষয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এরশাদ আলী অকপটে স্বীকার করে বলেন, তদন্তে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগের কোন প্রমান পাননি। তবে মন্ত্রনালয়ের উর্দ্ধতন এক কর্মকর্তার চাপের মুখে তিনি প্রধান শিক্ষককে অন্যত্র বদলীর জন্য আবেদন করতে বলেছেন।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ তাফসীর