নেত্রকোনার মদনে বিদ্যালয়ের বাউন্ডারি দেয়াল ভাঙাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অভিভাবকসহ দুইজন আহত ও এক শিক্ষক লাঞ্চিত হয়েছেন। বুধবার উপজেলার চানগাঁও ইউনিয়নের চাহাম উচ্চবিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
আহত অভিভাবক বজলু মিয়া ও তার ভাই মো. আবু সাইদকে মদন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জেলা পরিষদ থেকে ৪ লাখ টাকা বরাদ্দ পেয়ে চাহাম উচ্চ বিদ্যালয়ের বাউন্ডারি দেয়াল নির্মাণ করে। অপরদিকে ২ কোটি ৮৮ লাখ টাকা ব্যয়ে বিদ্যালয়ে ৪ তলা ভবন নির্মাণ করার জন্য দোলন এন্ডার প্রাইজ নামীয় ঠিকাদারের কাজ চলমান রয়েছে। কিন্তু কাজ চলাকালীন সময়ে ভ্যাকু দিয়ে মাটি কাটার সময় দেয়াল ভেঙে কিছু অংশ মাটিতে পড়ে যায় এবং অন্যান্য অংশে ফাটল ধরে।এ নিয়ে বুধবার বিদ্যালয় চলাকানীন সময়ে সহকারী শিক্ষক মো. মাহবুব আলম ভবন নির্মাণের পাহারাদার চানগাওঁ গ্রামের রাহিম উদ্দিনের কাছে জানতে চান। এ নিয়ে দু'জনের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। এ খবর পেয়ে রাহিম উদ্দিনের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে বিদ্যালয়ে হামলা চালায় এবং সহকারি শিক্ষক মাহবুব আলমকে লাঞ্চিত করে। এ সময় অভিভাবক বজলু মিয়া ও তার ভাই আবু মিয়া বিদ্যালয়ে উপস্থিত হলে তাদেরকেও মারপিট করলে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি, প্রধানশিক্ষক ও অন্যান্য শিক্ষক শিক্ষার্থীরা প্রাণের ভয়ে বিদ্যালয় ছেড়ে পালিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত পাহাড়াদার রাহিম জানান, ক্ষতি হওয়া দেয়ালের কাজ শেষে মেরামত করে দেওয়া হবে বলে ঠিকাদার জানিয়ে ছিলেন। কিন্তু শিক্ষক মাহবুব আলম তা না মেনে নির্মাণাধীন কাজ বন্ধ করে দিলে তার সাথে কথা কাটাকাটি হয়।
বিদ্যালয়ের সভাপতি আব্দুল লতিফ তালুকদার বলেন, শিক্ষককে আমিই বলেছি তারা যেন ওয়াল থেকে মাটি দূরে রাখে। এ সময় মাহবুব কথা বললে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে এ ঘটনা ঘটায়।
ওসি মো. রমিজুল হক জানান, আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ওয়ালীউল হাসান বলেন, প্রধান শিক্ষকের মাধ্যমে ঘটনার খবর পেয়েছি। সেখানে দু’জন আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থলে পুলিশ প্রেরণ করেছি। যেহেতু একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সেখানে যেন এমন ঘটনা আর না ঘটে, এর জন্য থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করার জন্য বলেছি।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার