ঘরের মালামাল চুরি করার সময় চোরকে চিনে ফেলায় শামীমা নাসরিন (১৪) নামের এক স্কুল ছাত্রীকে ব্লেড দিয়ে কেটে রক্তাক্ত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সে শরীয়তপুর সদর উপজেলার আংগারীয় বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেনীর ছাত্রী। একই উপজেলার চিতলিয়া গ্রামের রুহুল আমীন মৃধার মেয়ে।
গতকাল রবিবার সন্ধ্যায় প্রতিবেশি রাজ্জাক হাওলাদারের ছেলে মিন্টু হাওলাদার চুরি করে মালামাল নিয়ে পালানোর সময় তাকে চিনে ফেলে শামীমা। তখন তার মাথায় আঘাত করলে সে অচেতন হয়ে যায়। সেই সময় তার বাম হাতে ব্লেড দিয়ে রক্তাক্ত করা হয়। স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে রাতেই শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। ঘটনার পর মিন্টু হাওলাদার গ্রাম থেকে পালিয়ে গেছে। এ বিষয়ে তার পরিবারের সদস্যরা কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।
শরীয়তপুর সদরের পালং মডেল থানা সূত্র জানায়, শরীয়তপুর সদর উপজেলার চিতলিয়া গ্রামের রুহুল আমীন মৃধার মেয়ে শামীমা নাসরিন স্থানীয় আংগারীয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেনীর ছাত্রী। গতকাল রবিবার সন্ধ্যার তাদের বসত ঘরে বসে পড়ালেখা করছিল। তখন ওই ঘরে পরিবারের অন্য সদস্যরা ছিলেন না। হঠাৎ ঘরের ভেতর একটি কক্ষে শব্দ হয়। তখন সে প্রতিবেশি মিন্টু হাওলাদারকে ঘরের মালমাল নিয়ে পালাতে দেখে। তাকে বাঁধা দিতে গেলে মিন্টু হাতে থাকা টর্চলাইট দিয়ে শামীমার মাথায় আঘাত করে। তখন শামীমা অচেতন হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পরে। এ সময় মিন্টু ব্লেড দিয়ে তার হাত কেটে রক্তক্ত করে। স্বজনরা উদ্ধার করে তাকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শামীমা নাসরিন জানায়, সম্ভবত মিন্টু আগে থেকেই ঘরের ভেতর লুকিয়ে ছিল। সন্ধ্যার পর যখন আমি একা ঘরে পড়তে ছিলাম তখন সে ঘরের মালামাল নিয়ে পালিয়ে যাচ্ছিল। আমি তাকে চিনে ফেলি। তখন বাঁধা দেই,সে আমাকে আঘাত করে।
শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের চিকিৎসক কাজী শাহ আব্দুল্লাহ শামীম বলেন,মেয়েটির বাম হাতে বেশ কয়েকটি স্থানে ব্লেটে কাটার চিহ্ন রয়েছে। এছাড়া মাথায় আঘাত পেয়েছে। শারীরিক ও মানসিক আঘাতের কারনে তার সেরে উঠতে একটু সময় লাগবে।
শরীয়তপুর সদরের আংগারীয় পুলিশ ফাড়ির পরিদর্শক মিন্টু মন্ডল বলেন, এ ঘটনা শুনে রবিবার রাতে জনতা মিন্টুকে স্থানীয় রংয়ের বাজারে আটক করেছিল। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগেই তার আত্মীয়-স্বজনরা তাকে নিয়ে যায়। এখন সে এলাকা থেকে পালিয়েছে। ওই স্কুল ছাত্রীর পরিবার থেকে অভিযোগ করা হয়েছে। পুলিশ আইনগত পদক্ষেপ নিচ্ছে।
বিডি প্রতিদিন/ তাফসীর আব্দুল্লাহ