কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়া ঈদগাহের ঐতিহ্য ও মর্যাদা যে কোন মূল্যে রক্ষা করা হবে। শোলাকিয়া কিশোরগঞ্জবাসীর আবেগ ও অনুভূতির জায়গা। শোলাকিয়ার ঐতিহ্যের ওপর আঘাত হলে, কিশোরগঞ্জবাসীর হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হবে। কাউকে এ ঐতিহ্য নষ্ট করতে দেওয়া হবে না।
আজ শনিবার দুপুরে কিশোরগঞ্জ নাগরিক অধিকার সুরক্ষা মঞ্চের আয়োজনে জেলা পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে এক মতবিনিময় সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
সভায় বক্তারা আরও বলেন, কোন সভায় কাদের সিদ্ধান্তে মসজিদ কাম ইসলামিক কালচারাল সেন্টার নির্মাণের জন্য শোলাকিয়া ঈদগাহকে নির্বাচন করা হয়েছে, সে বিষয়টি কিশোরগঞ্জের -১ আসনের সংসদ সদস্যকে অবহিত করার জন্য জেলা প্রশাসকের কাছে দাবি জানান। মসজিদ ও কালচারাল সেন্টার নির্মাণের জন্য সরকারি বিধান মতে খাস জমি অথবা ৪০ শতাংশ জমি অধিগ্রহণের বাইরে অন্য কোন সুযোগ আছে কি না সে প্রশ্ন রাখেন বক্তারা।
শোলাকিয়ার ঐতিহ্য রক্ষায় আন্দোলনকারীদেরকে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও প্রয়াত জনপ্রশাসন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের নাম ব্যবহার করে হুমকি ধমকি থেকে বিরত থাকার জন্যও জেলা প্রশাসকের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
আজিম উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোকাররম হোসেন শোকরানার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য দেন জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট মিয়া মো. ফেরদৌস, কিশোরগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র আবু তাহের মিয়া, প্রবীণ শিক্ষক আবু খালেদ পাঠান, জেলা পাবলিক লাইব্রেরির সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোজাম্মেল হক খান রতন, অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন ফারুকী, সাংস্কৃতিক কর্মী এটিএম মোস্তাফা, বিএনপি নেতা ইসরাইল মিয়া, সিপিবি নেতা অ্যাডভোকেট হাসান ইমাম রঞ্জু, ইসলামি চিন্তাবিদ মাওলানা মোহাম্মদ আলী জামী, সাংবাদিক মোস্তফা কামাল, সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলনের উপদেষ্টা ফিরোজ উদ্দিন ভূইয়া, প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান, আশরাফুল ইসলাম, আবু তাহের প্রমুখ। সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন নাগরিক অধিকার সংরক্ষণ মঞ্চের আহ্বায়ক শেখ সেলিম কবীর। সভায় শোলাকিয়া ঈদগাহের মোতওয়াল্লী দেওয়ান ফাত্তাহ দাদ খান উপস্থিত ছিলেন। সভা পরিচালনা করেন সাংবাদিক সাইফউদ্দীন আহমেদ লেনিন।
সভায় বক্তারা শোলাকিয়া ঈদগাহের পাশের গরুর হাট অন্যত্র সরিয়ে অথবা শহরের অন্য কোন জায়গায় মসজিদ কাম ইসলামি কালচারাল সেন্টার নির্মাণের দাবি জানান।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা